কবিতা
তাম্রলিপি
সাগর আহমেদ
তামাটে তাম্রলিপির মতো বন্দী জীবন
নক্ষত্র গুহায়
সময়ের জাদুকরী ছুড়ে দেয় মায়াজালে
কিছু ধুপ, ধুনো ,
রাতকানা আলোয় আরো বেশি করে হেসে ওঠে
জমকালো অন্ধকার,
আহ্ পৃথিবী!
তাম্রলিপির মতোই তুমি বড় বেশি পুরনো হলে
চিয়ার্স ।
আলোর মিছিল
আশতাব হোসেন
ভয়ঙ্কর গাঢ় আঁধার পথিমধ্যে
তবুও আজ যেতে হবে বহুদূর,
পিচ্ছিল ও কাঁটাময় পথ দুরূহ অতিক্রম করা।
হাল যেনো না যায় ফসকে
হে আশার ঝা-া!
আসবে সফলতা নিশ্চিত যেনো
কাঁটাও চুম্বন করবে পদে অনুতপ্ত হয়ে তখন।
কাঁচের টুকরা বুকে জড়ালে করে ক্ষতবিক্ষত,
সে ক্ষত থেকে টগবগে রক্ত ঝরে অবিরাম,
সাহসও যোগায় ভীতু তাড়িয়ে।
দুর্গম পথ দিতে হবে পাড়ি
নির্ভীক ত্যাগী সৈনিকের বেশে।
প্রদীপ শিখা জ্বলজ্বল করে
শুরু হবে দিগন্তব্যাপী আলোর মিছিল!
কান্নার শব্দ
তুহীন বিশ্বাস
হতাশার দুয়ারে দাঁড়িয়ে জীবনের গল্প;
সভ্যতা গিলে খায় মৌলিক চাহিদাগুলো
ভিখারির ঝুলিতে জমা পড়ে সহস্র কষ্ট
ব্যস্ত শহরে শোনা যায় না কান্নার শব্দ।
নির্লজ্জ সুশীল মুখ ঢাকে ছেঁড়া রুমালে;
দেয়ালে পিঠ ঠেকানো মানুষের মিছিল-
ভাত দাও, কাপড় দাও, নইলে বুলেট দাও!
পৃথিবীর মানচিত্রে আবার নতুন রক্ত নাও।
হে দয়াময় রহমান রহিম, রক্ষা কর প্রাণ
মানুষ মাঝে আসুক তোমার শান্তির দান।
দেখা হবে
নাসরীন খান
দেখা হবে তোমার সাথে কোন এক বিকেলে
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গল্প কথায়।
দেখা হবে কোন এক সন্ধ্যায় রিক্সার হুড উঠিয়ে
যখন চলব নিরুদ্দেশের পথে।
দেখা হবে কোন এক দুপুরে ঘামে ভেজা মুখখানায়
রুমাল দিয়ে মুছে দেয়ার ইচ্ছেরা
যখন ডাকবে তোমায়।
দেখা হবে কোন এক চাঁদনী রাতে
তারাভরা আকাশ
পাশে বসে আমার হাতটি ধরে থাকবে আলতো ছুঁয়ে।
আমি তোমার সেই আমিই থাকব
যেমন চেয়েছি তোমার সারাটাদিনের আবছায়ায়...
হয়ত মাস কেটে যাবে!
বছর কেটে যাবে!
যুগ কেটে যাবে!
দেখা হবে নিশ্চিত জেনো।।