মাইগ্রেনসহ বিভিন্ন ব্যথার চিকিৎসা কী?
মাথা ব্যথার বিভিন্ন ধরন আছে। অনেকেই মাথা ধরা বা মাথা ব্যথায় ভোগেন। মাইগ্রেন হলো বিশেষ ধরনের মাথা ব্যথা। এর আলাদা ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হয়। মাথার যে কোনও একটা দিক থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। তাই একে আধ-কপালি ব্যথাও বলা হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা দপদপ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে সেই ব্যথা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া চোখের চারপাশেও ব্যথা হতে পারে। মাইগ্রেন হলে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেতে হবে। আর কি কি কারণে মাথা ব্যথা হয়? টেনশন : টেনশনের কারণে মাথাব্যথা হলে পুরো মাথা জুড়ে হয়। মনে হবে যেন কেউ মাথাটা চেপে ধরে আছে। ভারী ভারী লাগবে। ক্লাস্টার হেডেক: দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বা বছরের নির্দিষ্ট একটা সময় এই ব্যথা হয়। চোখের পিছনের দিক থেকে মাথার একটি দিক বরাবর যন্ত্রণা হয়। মাথার ভিতরে রক্তপাত হলে: মাথার পিছন দিক থেকে শুরু হয়ে ঘাড় পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ব্রেন ইনফেকশন বা মেনিনজাইটিস: পুরো মাথাজুড়ে যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে ঘাড়েও ব্যথা হয়। চোখের পাওয়ার বাড়লে: চোখের চারপাশে ব্যথা হবে। মাথাতেও ব্যথা হবে। ভেনাস সাইনাস: মাথার ভিতরে ভেনাস সাইনাস ক্লট করলেও যন্ত্রণা হয়। সাইনাস ইনফেকশন: এ ক্ষেত্রে মুখমণ্ডলে ব্যথা হতে পারে। বয়স ৫৫-র উপরে হলে ও তারপর জীবনে প্রথম মাথাব্যথার ধাত শুরু হলে ডাক্তারের কাছে যান। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে জ্বর, বমি হলে ইনফেকশন, মেনিনজাইটিস, মাথার ভিতরে রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে। মাথাব্যথার সঙ্গে নিউরোর সমস্যা দেখা দিলে , কোনও একদিকে প্যারালাইসিসের লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান। ঝিমিয়ে গেলে, চেনা মানুষকে চিনতে না পারলে দ্রুত নিউরোলজিস্টের কাছে যান। ভাল থাকার উপায় : মাইগ্রেনের রোগীকে প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা হওয়ার সময় ডাক্তার কিছু ওষুধ দেন। তারপর ব্যথা কমার কিছু দিন পরেও কিছু ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এই ওষুধ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বন্ধ করতে হবে। এরপর মাইগ্রেনের অ্যাটাক এড়াতে লাইফস্টাইল ঠিক করতে হবে। খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকা ও রাত্রি জাগা চলবে না। হঠাৎ করে রোদে বেরনো চলবে না। ঘুম কম বা অতিরিক্ত ঘুম নয়। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।