ঢাকা, বৃহস্পতিবার 1 June 2023, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিজরী
Online Edition

গাজীপুর সিটিতে ভোট পড়েছে ৪৮.৭৫ শতাংশ

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা তিনটি সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে কম।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (২৬ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৩ জন।

ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন, যা মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ২০১৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে এই সিটিতে ভোট পড়েছিল ৫৮ শতাংশ, তার আগে ২০১৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশ।

এবারই প্রথম পুরো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হলো।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কথা বিকেলেই স্বীকার করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ইভিএম বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় এবং লাইনে সিরিয়াল না মানায় এমনটি হয়েছে। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। তবে সে সময় তিনি অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে ইসির ধারণার কথাও জানিয়েছিলেন।

তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে প্রথম কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং প্রথম কোনো নারী প্রার্থী এই সিটিতে নগরমাতা হলেন। নির্বাচিত নগরমাতা জায়েদা খাতুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা।

২০১৮ সালে বিপুল ভোটে মেয়র পদে নির্বাচিত হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু গত বছর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কারও করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ বছর জানুয়ারিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর মাঝে গত ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়।

চলতি বছর ভোটের তফসিল ঘোষণা করলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজে প্রার্থী হয়েই কেবল দমে যাননি, মাকেও প্রার্থী করেছেন নিজের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার শঙ্কায়।

ঋণ খেলাপি অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও টিকে যায় মা জায়েদা খাতুনের প্রার্থিতা। এর মাঝে ‘গুম হতে পারি’ এমন বক্তব্য দিয়ে ফের দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। তবে বারবার বলছিলেন, তার মা জয়ী হয়ে আসবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে ১৬ হাজার ২০৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ