বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

ব্রণ কেন হয়? কীভাবে কমবে?

ব্রণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা বটেই। কম বয়সী মেয়েদের এ নিয়ে বিব্রত হতে হয়। ছেলেদেরও কিন্তু ব্রণ হয়। ব্রণের কারণে চেহারার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যায়। কারও কারও মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ হয়। কারও কারও একই জায়গায় বারবার ব্রণ হতে থাকে। ব্রণ কেন হয়? আসলে এটার সত্যিকারের কারণ এক কথায় বলা সম্ভব নয়। বয়সন্ধিকালে এবং আরেকটু বয়স হলে মুখে এটি দেখা দেয়। ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণের কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে প্রধান হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি। সে কথা না ভেবে এই সমস্যা থেকে কীভাবে বাঁচবেন সেটা ভাবা উচিত। কিছু টিপস-১. ত্বকে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অসংখ্য ছিদ্র থাকে। বাইরের দূষিত পদার্থ, ধুলো বালি এই ছিদ্রগুলোতে ঢুকে ত্বকের ক্ষতি করে। পাশাপাশি তৈলাক্ত ত্বক থেকে ক্ষরিত সিরাম ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে ঢুকে ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর থেকেই বাড়ে ব্রণ। ভালো ক্লিনজার দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে এই ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড ত্বক থেকে সরে যায়। ২. যখন তখন মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস থেকে ব্রণের সমস্যা বারবার দেখা দেয়। সারাদিন আমাদের হাত নানা জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। সেই হাত সরাসরি মুখে দিলে জীবাণু ত্বকে চলে যায়। এই জীবাণু থেকে ত্বকে সংক্রমণ ছড়ানোর শংকা বাড়ে। ব্রণ খোটা বন্ধ করতে হবে। ৩. মেয়েদের পিরিয়ডের সময় শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে গলা ও চিবুকের অংশের সেবেসিয়াস গ্রন্থি বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে। এর থেকেও এই সমস্যা বাড়ে। পিরিয়ডের ব্রণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ৪.  অনেক সময় ব্রণের আকারে সিস্ট তৈরি হয় মুখের ত্বকে। সিস্ট ব্রণ থেকে তুলনায় বড় হয়। এর মধ্যে তেল ও জীবাণুর পরিমাণও ব্রণের তুলনায় বেশি। এই ধরনের সিস্ট সারতে যথেষ্ট সময় লাগে।  চিকিৎসকরা ব্ল­ু লাইট থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ