লো প্রেশারের কারণ কি? কি করণীয়?
রক্তচাপের উল্টোটা হলো লো প্রেশার। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১২০/৮০। এর উপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ আর নিম্ন রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। প্রেশার বৃদ্ধি বা হ্রাস দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ এর আশপাশে থাকে তা হলে একে লো প্রেশার বা নি¤œ রক্তচাপ বলা হয়। এর লক্ষণ কি? নির্দিষ্ট একটি কারণে লো প্রেশার হয় না। নানা কারণে হতে পারে। ১) শরীরে পানিশূন্যতা : গরমে ঘেমে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ থেকে লো প্রেশার হয়। ২) সঠিক খাবার না খাওয়া : আমাদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার চাহিদা আছে। সময়মতো আর সঠিকভাবে সেই খাবার না খেলে হতে পারে। ৩) অতিরিক্ত পরিশ্রম : পরিশ্রম সবসময় শরীরের সাথে সহনীয় মাত্রায় হতে হবে। আর তা মাত্রা ছাড়ালে প্রেশার লো হতে পারে। ৪) দুশ্চিন্তা : মানসিক অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, ভয় ইত্যাদি কারণেও প্রেশার লো হতে পারে। মনের সাথে শরীরের যোগাযোগ নিবিড়। ৫) অপুষ্টি: শরীরে পুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলেও প্রেশার লো হয়। ৬) অপর্যাপ্ত ঘুম : অপর্যাপ্ত ঘুমের জন্যও প্রেশার লো হয়ে যায়। একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এছাড়া ডায়রিয়া, বদহজম, রক্তপাত, রক্তশূন্যতা. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভাবস্থায় (নারীদের) হার্টের সমস্যা, শরীরে তাপমাত্রার তারতম্য, গ্যাসট্রিকের সমস্যার কারণেও প্রেশার লো হতে পারে। লক্ষণ : কিছু লক্ষণ থেকে লো প্রেসার শনাক্ত করা যায়। ১. মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া। ২. বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া বা ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়া। ৩. মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। ৪. চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা। ৫. বমিভাব হওয়া। ৬. শারীরিক বা মানসিক অবসাদ। ৭. খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া। ৮. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। ৯. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। ১০. প্রস্রাব কমে যাওয়া। ১১. অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদ কম্পন হওয়া। প্রতিকার : প্রেশার কমে গেলে দুশ্চিন্তা না করে যা করা দরকার : ১) খাবার স্যালাইন: প্রেশার কম হলে প্রথমেই স্যালাইন খেতে হবে। খাবার স্যালাইন খেলে প্রেসার বেড়ে যায়। ২) গ্লুকোজ : গ্লুকোজ খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। ৩) লবণ জাতীয় খাবার : লবণ এবং লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। ৪) দুধ ও ডিম: দুধ ও ডিমসহ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ৫) কফি : কফি প্রেসার বাড়াতে বেশ কার্যকরী। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।