শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ব্রহ্মপুত্র নদের ‘বালাসী ঘাট’

 

গাইবান্ধা থেকে জোবায়ের আলী : ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসী ঘাট। চিরচেনা দর্শনীয় এ স্থানে শিশু, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসী ঘাটে ছুটে এসেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। নদের দৃশ্য আর প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ তারা।

স্থানীয়রা জানান, ফুলছড়ি উপজেলায় বিনোদনের জন্য কয়েকটি স্থান থাকলেও সেগুলোতে কৃত্রিম কিছু দেখা ছাড়া প্রকৃতির সৌন্দর্য চোখে পড়ে না। তাই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বালাসী ঘাটে ছুটছেন বিনোদনপ্রেমীরা। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নদে নামানো হয়েছে বেশকিছু নৌকা। বালু চরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। এসব বাহনযোগে বালুচরসহ এদিক-সেদিক ঘুরছেন ভ্রমণপিপাসুরা। নদীর দুপাড় ও চরাঞ্চলগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।  বালাসী ঘাটে ঘুরতে আসা রাইসা জান্নাত নামের এক তরুণী বলেন, ‘বাবা-মায়ের চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করি। আমাদের গ্রামের বাড়ি সাঘাটায়। ঈদের ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে বালাসী ঘাটে ঘুরতে এসেছি। এখানে ঘুরে খুব ভালো লেগেছে এবং মুগ্ধ হয়েছি।’ রফিকুল ইসলাম নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘এখানে নৌযোগে ঘোরাঘুরি করলাম। বালুচরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে প্রাণ জুড়ে গেলো। তবে এখানে বিশ্রামের জন্য বসার তেমন ব্যবস্থা নেই। সঙ্গে বাথরুমের ব্যবস্থা করা দরকার।’ চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মব্যস্ততার কারণে পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় কম হয়। তাই ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বালাসী ঘাটে ঘুরতে এসেছি। পরিবেশটা খুব ভালো লাগলো।’ নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নদে নৌকা নামানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য এটি কয়েকদিন চলবে। লোক বহন করে দিনে হাজার টাকার বেশি রোজগার হচ্ছে।’ গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) কামাল হোসেন বলেন, ফুলছড়ির বালাসীতে আগত বিনোদনপ্রেমী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ