পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় আফগানিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগান বোলারদের তোপে প্রথম ম্যাচে নব্বইয়ের ঘরে অলআউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে একশ’র কোঠা পেরোলেও পাকিস্তানীদের সংগ্রহটা জুতসই হলো না। রোববার রাতে শারজায় শাদাব খানদের দেয়া ১৩১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটের জয় পায় আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় রশিদ খানের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম সিরিজ জয় এটি। চলমান সিরিজের আগে ওয়ানডেতে দুই দলের ৪ দেখায় শতভাগ জয় পাকিস্তানের। আগের তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও সাফল্য শূন্য ছিল আফগানিস্তান। ২০১৮ সালে টেস্ট খেতাব পাওয়া আফগানরা এখনও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়নি। রোববার পাকিস্তানের দেয়া টার্গেট চেজ করতে নেমে দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৭ রান করে জামান খানের উইকেটে পরিণত হন ওপেনার উসমান গণি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রান তোলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাজিম জাদরান। ৪০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করে ইবরাহিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ওপেনার গুরবাজের সংগ্রহ ৪৪ রান। আফগানিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলতে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষে নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩* এবং মোহাম্মদ নবী ১৪* রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের জামান খান এবং ইহসানুল্লাহ একটি করে উইকেট পান। এর আগে টসে জিতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই দুই উইকেট হারায় দলটি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সায়েম আইয়ুব এবং আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি।
দলীয় ২০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন মোহাম্মদ হারিস। চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন তাইয়েব তাহির এবং ইমাদ ওয়াসিম। তাহির ১৩ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় সংগ্রহে ৩ রান যোগ হতেই পঞ্চম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আজম খান (১)। শেষে ইমাদ ওয়াসিম এবং শাদাব খানের ৬৭ রানের জুটিতে ১৩০ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। ৫৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪* রান করেন তিনি। অধিনায়ক শাদাব খানের সংগ্রহ ৩২ রান। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি ৪ ওভারে ১৯ রানের খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। একটি করে উইকেট পান নাভিন উল হক, রশিদ খান এবং করিম জানাত।