নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরেও হত্যা করছে র্যাব: ফখরুল

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা আমাদের জন্য লজ্জার। সেই র্যাবের বিরুদ্ধে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠছে। নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে গিয়েছিল, এখন তা আবার ঘটতে শুরু করছে। নওগাঁর এক মহিলাকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে, পরে তার মৃত্যু হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরেও তারা আবার হত্যা করছে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পুরস্কৃত করছে ক্ষসতাসীনরা। এমনকি হোম মিনিস্টার করারও চিন্তা করা হচ্ছে! এ জন্য দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপিকেও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালে যেমন লুট করেছে, ঠিক আজকেও একই অবস্থা তৈরি করেছে। পাক হানাদার বাহিনীর মতো দেশের জনগণের ওপর রক্তশোষণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভিন্নমত দমনের জন্য নতুন নতুন আইন করছে সরকার। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, উল্টো পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের লোকেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে বিক্রির পাঁয়তারা করছে তারা।
বিএনপিকে আলোচনার চিঠি পাঠিয়ে সরকার ও ইসি নাটক করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিঠি পাঠিয়ে প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বোঝানোর চক্রান্ত করে লাভ হবে না। সংকট একটা, সেটা হলো নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয় কথা হতে পারে, অন্য কোনো বিষয়ে বিএনপি কথা বলবে না।
আওয়ামী লীগ দেশকে মধ্যযুগীয় বর্বর অবস্থার মধ্যে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন অর্থনীতি নেই, অনর্থনীতি তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে। দেশের নয়, ক্ষমতাসীনদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতারণা করে টিকে আছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নয়, সরকারের লোভ, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। উন্নয়ন চোখে দেখার চাইতে জনগণের পেটের উন্নয়ন দেখতে হবে।