কুইক রেন্টাল থেকে বের হয়ে আসার উদ্যোগ নেই

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: ২০২৪ সালে কুইক রেন্টাল থেকে বের হয়ে আসার কথা। এখন সরকারের হাতে সময় রয়েছে ৬ মাস। কিন্তু এর থেকে বের হয়ে আসার জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখছি না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে তার মূলে রয়েছে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তিগুলো। পাশাপাশি ২০১০ সালে প্রণীত ও ২০২১ সালে সংশোধিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের ক্ষমতাবলে সরকার অপচয়কে উৎসাহিত করছে এবং এর ফলে একশ্রেণির কোম্পানি অতি মুনাফা লুটে নিচ্ছে।
ধানমন্ডিস্থ সিপিডি সেন্টারে আয়োজিত নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২২ (খসড়া): এটি কি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে? শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত উপস্থাপনাসহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি পলিসি-২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান বিদ্যুৎ খাতে যে সঙ্কট রয়েছে তা অনেকটাই কমে যাবে। বিদ্যুৎ খাতে অদূরদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের উপর এখন বিশাল পরিমাণ ভর্তুকির চাপ পড়েছে। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ভোক্তাদের ওপর। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে গৃহীত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির যে নতুন খসড়া (নবায়ন জ্বালানি নীতি-২০২২) তৈরি হয়েছে, এতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন ও বিস্তারে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা মূল নীতির চেয়ে আরো বেশি বিস্তারিত এবং নতুন প্রস্তাবনা সমৃদ্ধ। তবে একই সঙ্গে মূল এবং খসড়া নীতির কিছু সিদ্ধান্তে সাংঘর্ষিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, যাদের কাজ করার যোগ্যতা নেই তাদেরকে বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প দেয়া হচ্ছে। এতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ৩৬টি প্রকল্পের মধ্যে ২৬টি প্রকল্পে কোনো কাজ হয়নি। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নীতিমালা নেই। ড. মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন পলিসিতে বায়ু, বিদ্যুৎ, বায়োম্যাস এনার্জি, ওয়েস্ট টু ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি, হাইড্রো এনার্জি বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে- জিওথার্মাল এনার্জি, টাইডাল এনার্জি, ওয়েভ এনার্জি, রিভার কারেন্ট, হাইড্রোজেন এনার্জি ইত্যাদি। এ ছাড়া পলিসির প্রথম দফায় ২০২৫ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা সামগ্রিক উৎপাদনের ১০ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২৬ থেকে ২০৪১ সালে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।