প্রশিক্ষণের মাস রমযান

নাসির হেলাল
মাহে রমজান প্রকৃতপক্ষেই প্রশিক্ষণের মাস। রমযানের চাঁদ দেখার সাথে সাথে বিশ্ব মুসলিমের মধ্যে সাওম পালন করার জন্য বাস্তব ভূমিকা রাখা শুরু হয়ে যায়। মাগরিবের সালাত আদায় করার পরপরই তারাবী সালাতের প্রস্তুতি এবং দীর্ঘ সময় ধরে তারাবী আদায় করা, বিতরের সালাত পড়ে বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম-এরপর আবার সালাতুল তাহাজ্জুদের জন্য ঘুম থেকে ওঠা, সালাত আদায় করা, সেহরী খাওয়া, ফযরের সালাত আদায়, এরপর কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সাহিত্য পড়া। সাথে সাথে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা কাজ কর্মে লেগে পড়া। এরপর যোহরের সালাত আদায়, আবার কাজ কাজকর্ম এবং আসরের সালাত আদায়। ইফতারীর প্রস্তুতি গ্রহণ, সময় মত ইফতার গ্রহণ এবং মাগরিবের সালাত আদায়। মূলতঃ রমযান মাসের প্রতিটি দিন প্রত্যেকজন সিয়াম পালনকারীর এভাবে নূন্যতম সময় ব্যয় হয়। যারা আরও ব্যস্ত তাদের কথা তো আলাদা।
অতএব এ কথা নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, রমযান মাস মুমিনের জন্য বার্ষিক প্রশিক্ষণের মাস। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিটি মুমিন তার দেহের কলকব্জায় নতুন করে ঈমানী তেল-মবিল লাগিয়ে নেন বছরের বাকি এগারো মাস ঈমানী যিন্দেগী যাপনের জন্য।
দান ও দান-সদকার মাস রমযান: সারাদিন সাওম পালন করার পর একজন মুমীন, একজন মুসলমান বুঝতে পারে ক্ষুধার কি জ্বালা। যে সমস্ত বনী আদম অভাবের কারণে একবেলা, আধ বেলা বা কোন কোন দিন উপোস করে কাটায় তাদের ক্ষুধার যন্ত্রণা সাওম পালনকারীর বুঝতে কষ্ট হয় না। আল্রাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে সিয়াম পালনের মাধ্যমে দারিদ্র্যের যন্ত্রণা কি তা উপলব্ধি করতে শেখান।
রমযান দয়া ও দান-সদকার মাস, করুণাময় মাস। রমযান কে রহমত, ক্ষমা ও মুক্তির মাস বলে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে-আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা, থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সা. এমনিতেই সর্বাধিক দানকারী ছিলেন। কিন্তু তিনি রমযানে জিবরাইলে আ.-এর সাথে সাক্ষাতের পর প্রবাহমান বাতাসের মতো উন্মুক্ত হস্ত ও অধিকতর দাতা হয়ে যেতেন।’ (বোখারী)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘রমযানের দান-সদকাহ সর্বোত্তম।’ (তিরমিযী)
আর এ দান যদি আল্লাহর রাস্তায় হয় তা’হলে তা সাধারণ দান-সদকার চেয়ে অনেক বেশি পুন্যের কাজ হয়। এমনিতে কোন ইবাদত বা ভালো কাজের সওয়াব ১০গুণ থেকে ৭০০ গুণ বা আরো অধিক হয়ে থাকে। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় দানের ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকে ৭০০ গুণ থেকে শুরু হয়ে উপরের দিকে। অর্থাৎ সে সওয়াব বেশুমার। এরশাদ হচ্ছেÑ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের অর্থ-সম্পদ দান করে তাদের দানের উদাহরণ হলো একটি বীজের মতো, যা থেকে ৭টি শীষ বা ছড়া জন্মায়। প্রত্যেকটি ছড়ায় একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আরো বেশি দান করেন। আল্লাহ অতি দয়াশীল ও সর্বজ্ঞ।’ (সূরা বাকারা : ২৬১ আ.)
অন্যত্র আল্লাহ বলেনÑ‘ তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো এবং তিনি তোমাদেরকে যে সম্পদের প্রতিনিধি বানিয়েছেনÑতা থেকে ব্যয় করো।’ (সূরা হাদীদ: ৭ আ.)
দান-সদকা করলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন। এরশাদ হচ্ছেÑ ‘ তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান-সদকা করো তা হলে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে গরীব ও অভাবীদেরকে দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরো উত্তম। আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ তোমাদের আমলের বেশি খবর রাখেন।’ (সূরা বাকারা : ২৭১)
শুধু তাই নয় দান-সদকা হায়াত বৃদ্ধি করে, এমন কি খারাপ মৃত্যু রোধ করে। হযরত আমর বিন আওফ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘মুসলমানের দান-সদকাহ তার হায়াত বৃদ্ধি করে, খারাপ মৃত্যু প্রতিহত করে এবং আল্লাহ এর মাধ্যমে তা গর্ব-অহংকার দূর করেন।’ (তাবরানী)
শুধু তাই নয় দান-সাদকাহ হায়াত বৃদ্ধি করে, এমন কি খারাপ মৃত্যু রোধ করে। হযরত আমর বিন আওফ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘মুসলমানের দান-সাদকা তার হায়াত বৃদ্ধি করে, খারাপ মৃত্যু প্রতিহত করে এবং আল্লাহ এর মাধ্যমে তার গর্ব অহংকার দূর করবেন। (তাবারানী)
ধৈর্য ও সংযমের মাস রমজান: মানুষের জীবনে ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ তিতিক্ষা বড় গুণ। চলার পথে নানা ক্ষেত্রে এসব গুণ যাদের আছে তারা জীবনে সফলকাম হন। আর রোজা পালনের মাধ্যমে একজন মুমীন এ গুণ অর্জন করতে পারেন বা করে থাকেন। সারাদিন অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে সকল প্রকার পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থেকে এ ধৈর্য ও সংযমের পরীক্ষা দেয় রোজাদারেরা। দীর্ঘ একমাস ধরে এ কষ্টকর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন রোজাদারগণ। আল্লাহ ধৈর্য ধারণকারীদের সুসংবাদ দিয়ে তাই বলেনÑ
‘সবরকারীদের সুসংবাদ দিন যারা বিপদগ্রস্থ হলে বলে, অবশ্যই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তারই দিকে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।’ (সূরা বাকারা)
হযরত সালমান ফারসী রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘রমজান হচ্ছে, ধৈর্য ও সংযমের মাস। আর সবরের পুরস্কার হচ্ছে, বেহেশত।’ (ইবনে খোযাইমাহ)
রাসূলুল্লাহ সা. আরও বলেনÑ‘ রোজা ধৈর্যের অর্ধেক।’ (তিরমিযী)
সূরা যুমায় আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ করেন, ‘ধৈর্য ধারণকারীদেরকে বিনা হিসেবে তাদের পুরস্কার দেয়া হবে।’ (সূরা যুমার ২আ)
আল্লাহ পাক আরও এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের সাথে আছেন।’ (সূরা বাকারা)
জিহাদ ও বিজয়ের মাস রমজান: ‘জিাহদ’ ধাতু থেকে জিহাদ নির্গত। চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালান, যথাসাধ্য চেষ্টা সাধনা করা-এর আভিধানিক অর্থ। বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক অভিধান জিহাদ এর অর্থ লিখেছেÑ১. ধর্ম রক্ষা করার জন্য লড়াই; ২. বিধর্মীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ধর্মযুদ্ধ; ৩. ধর্মযুদ্ধ এবং ৪. অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম; সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য ধনপ্রাণ দিয়ে সর্বপ্রকার সংগ্রাম।
প্রকৃতপক্ষে অব্যাহত প্রচেষ্টার নাম জিহাদ। এর পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহর দ্বীন আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠার জন্য ছোট থেকে বড় সকল প্রকার চেষ্টা চালানো। এবং এর পরিধি দাওয়াতী কাজ থেকে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত। এরশাদ হচ্ছেÑ
‘তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়, হতে পারে তোমরা যা অপছন্দ করো তাতেই তোমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে, আর তোমরা যা পছন্দ করো তা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, আল্লাহ জানেন, তোমরা যা জান না।’ (বাকারা: ২১৬ আ)
ওজর ব্যতীত বসে থাকা লোক কখনো জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী লোকের সমান হতে পারে না। আল্লাহ বসে থাকা লোকদের উপর মুজাহিদদেরকে ফযীলত, মহান বিনিময়, সম্মান ও মর্যাদা এবং ক্ষমা রহমত দান করেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও মেহেরবান।’ (সূরা নিসা: ৬৫-৬৬ আ)
মহান রাব্বুল আলামীন আরও ঘোষণা করেছেনÑ‘আমি কি তোমাদের এমন এক ব্যবসার কথা বলবো না, যা তোমাদেরকে পীড়াদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? (আর তা হলো) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনবে, জান-মাল দিয়ে তার রাস্তায় জিহাদ করবে। তোমরা যদি বুঝ তাহলে, এটা তোমাদের জন কল্যাণকর। আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন, তোমাদেরকে এমনি বেহেশতে প্রবেশ করাবেন, যার পাশ দিয়ে ঝর্ণা ধারা প্রবাহিত, সুন্দর বাসস্থান এবং আদর্শ জান্নাতে স্থান দেবেন। আর এটা হবে বড় বিজয়।’ (সূরা সাফ: ১০-১৩ আ)
‘হিজরী প্রথম সালের প্রথম রমজানে মুসলমানেরা সর্বপ্রথম হামযাহ বিন আবদুল মোত্তালিবের নেতৃত্বে ছোট একটি মুজাহিদ বাহিনী পাঠায়। এরপর ওবায়দাহ বিন হারেস বিন আবদুল মোত্তালিবের নেতৃত্বে আরো একটি ছোট মুজাহিদ বাহিনীকে অভিযানে পাঠায়। প্রথম হিজরীর রমজানে পরপর দু’টো মুজাহিদ বাহিনী পাঠানোর পর মদীনার ইহুদীদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়, মুসলমানদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং জিহাদের প্রস্তুতির জন্য সবাই মানসিকভাবে তৈরী হতে থাকে।’ (রমযানের তিরিশ শিক্ষা এ.এন.এম সিরাজুল ইসলাম, পৃ. ১৮৯)
মুসলমানদের মহাবিজয় সংঘটিত হয় এই রমজান মাসেই। রাসূলুল্লাহ সা. এর নেতৃত্বে বদরের যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে মক্কা বিজয় হয় এ মাসে। দ্বিতীয় হিজরী সনের ১৭ রমজান সংঘটিত বদরপ্রান্তের যুদ্ধে মুসলমানেরা বিপুল বিজয় অর্জন করে। এ বিজয়ের ফলে মুসলমানদের তথা ইসলামের শিকড় মজবুতভাবে গ্রথিত হয়। এরশাদ হচ্ছেÑ
‘সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাতিলের উৎখাত করাই ঐ যুদ্ধের লক্ষ্য।’ (সূরা আনফাল)
রমজান মাসে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত সকল যুদ্ধেই মুসলমানের বিজয় লাভ করেছেন। এ জন্য রমজানকে মুসলমানদে বিজয়ের মাস বলা হয়।
সিয়াম সম্বন্ধে আল কুরআন: পবিত্র কুরআনে সিয়াম বা রোযা সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ৪টি আয়াত রয়েছে। যাতে সিয়ামের ইতিহাস, উদ্দেশ্য এবং বিধিনিষেধ বর্ণনা করা হয়েছে। এরশাদ হচ্ছেÑ
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার।’ (সূরা বাকারা: ১৮৩ আ)
‘সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে। এটা যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়া একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা। যদি কেউ স্বত:স্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণপ্রসূ যদি তোমরা জানতে।’ (সূরা বাকারা: ১৮৪ আ)
‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। এবং কেউ পীড়িত থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য ক্লেশ কর তা চান না, এজন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।’ (সূরা বাকারা: ১৮৫ আ)
সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ জানেন যে, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করছিলো। অতঃপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করেছেন সুতরাং এখন তোমরা তাদের সাথে সংগত হও এবং আল্লাহ তা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তা কামনা কর। আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত আশা পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হইও না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা সুতরাং এগুলোর নিকটবর্তী হইও না। এভাবে আল্লাহ তার নিদর্শনাবলী মানব জাতির জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে।’ (সূরা বাকারা: ১৮৭ আ)
পবিত্র মাহে রমজান ও রমজানুল মোবারক প্রতি বছর ফিরে আসে মুমিন মুসলমানের দরজায়- তাদেরকে পরিশুদ্ধ করতে, তাদেরকে মুত্তাকী বানাতে। রমজানে পুরো মাস ধরে যারা নিজেদের শুদ্ধ করার জন্য রোজা রাখে এবং সে অনুযায়ী কঠোর সাধনায় ব্রত হয় তাদের প্রতিটি ভালো কাজ এ মাসে কল্যাণের সুবাস ছড়ায়। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত হিসাবের মধ্য দিয়ে ব্যয় করা হয় বা করা উচিত। আমাদের বিশ্বাস বিশ্ব মুসলমান তেমনটিই করার চেষ্টা করেন। আমরা একটু খেয়াল করলেও দেখতে পাব পুরো রমজান মাস সমাজে এক ধরনের পবিত্রতা বিরাজ করে। রমজানের শিক্ষানুযায়ী সারা বছর তা বিরাজ করুক এটাই কাম্য।