দাওয়াতে গেলেই কাউকে জড়িত বলা যায় না: আইজিপি

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজনের কথা আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব।’
গত ১৫ মার্চ আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যান জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নায়িকা দীঘি এবং ইউটিউবের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এরপরই আরাভ খানের বিষয়টি তুমুল আলোচনায় আসে। জানা যায়, আরাভ খান ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। পুলিশ মামলার আসামি হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানে বস্তিতে থেকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই চলে যান। খবর বের হয়, সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দুবাই চলে যান আরাভ খান।
অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়া আরাভ খানের সঙ্গে দেশের অপরাধজগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মডেল, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশের সূত্র ব্যবহার করে কয়েকটি গণমাধ্যম ইতোমধ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। পুলিশ খুনের মামলার এ আসামির একটা সময় এফডিসিতে যাতায়াত ছিল। তখনই তার সেলিব্রেটিদের সঙ্গে যোগাযোগটা গড়ে উঠে। পূর্বের যোগাযোগ ও নগদ টাকার জোরে নায়ক-নায়িকাদের সহজেই কাছে পান আরাভ খান। যেটির প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার সোনার দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
গত ১৫ মার্চ আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যান জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নায়িকা দীঘি এবং ইউটিউবের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এরপরই আরাভ খানের বিষয়টি তুমুল আলোচনায় আসে। জানা যায়, আরাভ খান ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। পুলিশ মামলার আসামি হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানে বস্তিতে থেকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই চলে যান।
এই শোরগোলের মধ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাকিব আল হাসান এবং হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এ রকম ‘নেতিবাচক চরিত্রের’ একজনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের আলোচিত কয়েকজন যাওয়ায় সমালোচনা শুরু হওয়ার বিষয়টি আজ (সোমবার) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে আইজিপি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় বিজ্ঞাপনে যায়। দাওয়াতে গেলেই যে জড়িত থাকবে বলে, সেটা বলা যায়? বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’