দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের নেই: গণতন্ত্র মঞ্চ
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাদের দাবি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের যে সিন্ডিকেট এতে সরকারই সম্পৃক্ত।
শনিবার দুপুরে পল্টন মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এ অভিযোগ করেন। বিদ্যুৎ-গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে যে সিন্ডিকেট, সেই সিন্ডিকেটেই ভূত আছে।
মান্না আরও বলেন, আন্দোলনের এই বাতাসটাকে ধীরে ধীরে আরও বাতাস দিতে থাকবো, চাঙা করতে থাকবো, যাতে রোজার পরে আমরা আমাদের পাওনা কড়ায়গন্ডায় আদায় করে নিতে পারি। আমরা সবার সমর্থন চাই। দেশে-বিদেশে যারা আছেন, সবার সমর্থন চাই।
সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মন্তব্য করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার আল্লাহর ওয়াস্তে বাজারকে ছেড়ে দিয়েছে। যে খেয়েপরে বাঁচতে পারলে বাঁচেন, না পারলে নাই।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের কারসাজির সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার ও তার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছয় থেকে সাতটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারের জিনিসপত্রের দামে ঊর্ধ্বগতি। সরকার এসব শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পায়।’
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন রমজান মাসে গণসংযোগ করা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নুর বলেন, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আগামী রমজান মাসে আন্দোলনকে সংগঠিত, বেগবান ও জোরদার করার জন্য গণসংযোগ কর্মসূচি, প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি, বৈঠক-কর্মিসভা রাখবো। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবো।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রলীগ (রব) সভাপতি তৌফিক উজ-জামান পীরাচার সঞ্চালনায় সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।