আল কুরআন বুঝে পড়ার গুরুত্ব

মুহাম্মদ আবুল হুসাইন:
প্রত্যেক রাসূলের নিকট হেদায়াত পাঠানো হয়েছিল তাদের নিজ নিজ জাতির ভাষায়, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া পথনির্দেশকে মানুষের সামনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারেন:
"আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার কওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে তাদের কাছে স্পষ্টভাবে (আমার নির্দেশগুলো) বর্ণনা করতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পথহারা করেছেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, তিনি বড়ই পরাক্রান্ত, বিজ্ঞানময়।" (১৪:৪)
"আমি যদি একে (কুরআন) অনারব ভাষায় অবতীর্ণ করতাম তাহলে তারা অবশ্যই বলত- 'এর আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল না কেন? আশ্চর্য ব্যাপার! কিতাব হল অনারব দেশীয় আর শ্রোতারা হল আরবীভাষী'। বল- যারা ঈমান আনে তাদের জন্য এ কুরআন সঠিক পথের দিশারী ও আরোগ্য (লাভের উপায়)।"
"নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।" (সুরা ১২ (ইউসুফ), আয়াত: ২)
"আর এই কিতাবও (কুরআন) আমিই অবতীর্ণ করেছি; যা খুবই বারাকাতময় কিতাব এবং পূর্বের সকল কিতাবকে সত্যায়িত করে থাকে, যেন তুমি (জনপদ সমূহের) কেন্দ্র মাক্কা নগরী এবং ওর চতুস্পার্শ্বস্থ জনপদের লোকদেরকে ওর দ্বারা ভীতি প্রদর্শন কর। যারা পরকালে বিশ্বাস রাখে তারা এই কিতাবকেও বিশ্বাস করবে এবং ওর প্রতি ঈমান আনবে, আর তারা নিয়মিতভাবে সালাতও আদায় করে থাকে।" (সূরা ৬ আনআ'ম, আয়াত ৯২)
শিক্ষা: আমাদের উচিত আল্লাহর কালাম আল কুরআনের শিক্ষা ও পথনির্দেশকে জানার চেষ্টা করা, তাহলেই আমাদের জীবন আলোকিত হবে। কুরআন এসেছে আমাদেরকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার জন্য, না বুঝে খতম দেয়ার জন্য নয়। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।