গাড়ি চালানোর আড়ালে মাদক কারবারি অবশেষে গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার: গাড়ি চালানোর আড়ালে মাদককারবারি করার অভিযোগে মো.সোহেল রানা (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার সোহেল পড়াশোনা করেছেন রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে। সেসময় এক মাদক কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তখন তিনি জানতে পারেন, মাদক কারবার করে অল্প সময়ে অধিক টাকা আয় করা যায়। এরপর ২০১০ সালে পরিবারের চাপে চলে যান দুবাই। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর চলে আসেন দেশে। দেশে আসার পর সেই মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার আবার কথা হয়। এরপর ২০১৭ সালে শুরু করেন মাদকের কারবার। গাড়ি চালানোর আড়ালে তিনি এই কাজ করতেন। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিভিন্ন জেলায় নেয়ার সময় মাদকের চালানও বহন করতেন সোহেল রানা। গতকাল শুক্রবার র্যাব এ তথ্য জানায়।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন,গত পাঁচ বছরে এভাবে ৬০টির বেশি মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাপ্তানবাজার থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তার প্রাইভেটকারে ৫৮১ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মাদকের একটি চালান নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি হয় সোহেল রানার। তার কাজ হলো ফেনসিডিলের চালানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে দেবেন। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সোহেল। এরপর ফেনসিডিলের চালানটি নিয়ে ফেরার পথে কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেফতার হন তিনি। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলের বাজারমূল্য প্রায় ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর আগেও ২০২১ সালে গাঁজার একটি চালানসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। তখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সে মামলায় তিন মাস জেলও খাটেন তিনি। পর জামিনে মুক্তি পান। র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে র্যাব-১৪ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক কারবার শুরু করেন। প্রতি চালানে ৫০০ হতে সর্বোচ্চ দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল বহন করেন তিনি।