আগুনে পুড়ে অঙ্গার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: গাজীপুরে রান্নাঘরে চুলার জমে থাকা গ্যাসের আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। নিহতের স্বামী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট পদে কর্মরত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার মহানগরীর বাসন থানাধীন নলজানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- ফারজানা হক (৩০)। তিনি শরিয়তপুর জেলা সদরের আঙ্গনিয়া এলাকার মীর আজিজুল হকের মেয়ে। তার স্বামী পুলিশ সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানাধীন লাউঘাটা এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।
জিএমপি’র বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান জানান, জিএমপি’তে কর্মরত সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ তার স্ত্রী ও নুজাইন নেওয়াজ (৪) নামের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নলজানী এলাকার প্লাটিনাম টাওয়ার ভবনের ৭ম তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। নুজাইন শহরের জোড়পুকুর এলাকার স্টার ফ্রলিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্লে শ্রেণীর ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে সন্তানকে বাসা থেকে স্কুলে নিয়ে যান সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। এসময় দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিটকে দূরে পড়ে। শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এসময় তারা আগুন নিভিয়ে ঘরে প্রবেশ করে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ফারজানা হক কচির লাশ ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখেন। আগুনে রান্নাঘরসহ পুরো ঘরের বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি জানান, ভবনের নীচতলায় থাকা সিলিন্ডার থেকে পাইপ দিয়ে রান্না ঘরের চুলায় গ্যাসের সংযোগ দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে জমে ছিল। ঘটনার সময় চুলা জ্বালাতে গেলে দিয়াশলাইয়ের আগুন ঘরে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। ফলে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরদিকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছিটকে যাওয়া নজেলসহ মিটারের আঘাতে এক শিশু মারা গেছে। বৃহস্পতিবার মহানগরীর বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা আক্তার (আড়াই বছর) শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কান্দুলী গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। জিএমপি’র বাসন থানার ওসি সরোয়ার জাহান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ইটাহাটা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি কারখানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল শিশু আয়েশা আক্তার। নির্মাণকর্মীরা ওই কারখানায় ঝালাই দেওয়ার সময় একটি গ্যাস সিলিন্ডারের মাথার অংশের নজেলসহ মিটার হঠাৎ করে ছুটে গিয়ে আয়েশার মাথা ও মুখে আঘাত করে।