বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
Online Edition

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হবে

সংসদ রিপোর্টার: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই কাঠামোগুলো পর্যালোচনার কাজ চলমান রয়েছে। পর্যালোচনা শেষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিউশন ফি” যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত নীতিমালা/গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৯ (৪) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শতকরা তিনভাগ আসন প্রত্যন্ত অনুন্নত অঞ্চলের মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সংরক্ষণ করে এসব শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি ও অন্যান্য ফি ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিধান অনুযায়ী মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা স্বল্প বেতনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে লেখাপড়া করছে। 

সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির অপর প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সব জেলায় অন্তত একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ৩১৬টি।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ২০ হাজার ৩১৬ টি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) ২ হাজার ৩৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৪৪৩টি। 

তিনি জানান, দেশে ৩৫৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়েছে। দেশে মোট ২২৫৭টি কলেজে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। সেখানে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ