বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সপ্তাহের শেষ দিনে স্বস্তির লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে উত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিনভর সূচক ওঠানামা শেষে এ দিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৪৩ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারে ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৫টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এ কেনা-বেচা থেকে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের কর্মদিবসে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফ্লোর প্রাইসের কারণে অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। তার বিপরীতে বেড়েছে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম, আর কমেছে ১৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

বিমা খাতের পাশাপাশি ওষুধ এবং ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলোÍ জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মা, বিএসসি, শাইনপুকুর সিরামিকস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার, আমরা নেটওয়ার্কস, সামিট এলায়েন্স পোর্ট এবং ইউনিক হোটেল লিমিটেড।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৪ টাকার। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৪৮টির ও ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে টানা পতনের পর দুই কর্মদিবসে উত্থান তো বটেই, শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন বৃদ্ধিতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে পুঁজিবাজারে। দরপতনের সংখ্যা কমে দর বৃদ্ধির কাছাকাছি চলে এসেছে। ফ্লোর প্রাইসে লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির পর গত ডিসেম্বরে লেনদেন নেমে আসে ২ শ’ থেকে ৩শ’ কোটির ঘরে। ৪ জানুয়ারি বাজার-সংশ্লিষ্টদের ডেকে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বাজার ভালো করতে সব পক্ষকে নামতে বলার পর লেনদেন বাড়তে থাকে। ১৮ জানুয়ারি হাজার কোটি ছুঁই ছুঁই লেনদেন হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণায় বাজার ছোটে উল্টো পথে। পরের ১১ কর্মদিবসের ৯ দিনই লেনদেন হয় ৫শ’ থেকে ৬শ’ কোটির ঘরে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২৫ জানুয়ারি। ওইদিন হাতবদল হয়েছিল ৭৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার টাকা। সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে যতটুকু সূচক পড়েছিল, দুই দিনে তার কাছাকাছি ফিরে এসেছে। রবি, সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে ২৯ পয়েন্ট সূচক পতনের পর দুই দিনে বাড়ল ২৭ পয়েন্ট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ