শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আমাকে উন্মুক্ত হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা দিয়েছে ---রাহুল

৩১ জানুয়ারী, ইন্টারনেট:  ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আমাকে হ্যান্ড গ্রেনেড দেয়নি, উন্মুক্ত হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা দিয়েছে। তারা আমাকে আলিঙ্গন করেছে। আমি খুশি যে তারা সবাই আমাকে তাদের আপন হিসেবে গ্রহণ করেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা আমাকে এখানে স্নেহ ও চোখের পানিতে স্বাগত জানিয়েছে। ‘ভারত জোড়ো পদযাত্রা’ কর্মসূচির শেষ দিনে তিনি  সোমবার শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।   

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এখানে পদযাত্রা শুরু করার আগে আমাকে ভয় দেখানো হয়েছিল। 

নিরাপত্তা হুমকির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখানে আসার পর জানতে পেরেছি কাশ্মীরিয়াতের অর্থ কী। আমি এখানে চার দিন টি-শার্ট পরে হেঁটেছি এবং চ্যালেঞ্জ করেছি যে, যদি আপনার সাহস থাকে তবে এর সাদা রঙ লাল করে দিন।’ রাহুল গান্ধী বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি হাঁটব, তাই অনেকে আমাকে ভয় দেখিয়েছিল।

 যে আদর্শকে শক্তিশালী করতে আমরা এই পদযাত্রা শুরু করেছি যা দেশের ভিত তৈরি করেছে।  

বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন্, ‘আমি জানি যে আমরা যদি ভালবাসার সাথে দাঁড়াই এবং ভালবাসার সাথে কথা বলি তবে আমরা সফল হব। আমরা শুধু তাদের আদর্শকে পরাজিত করব না, তাদের হৃদয় থেকেও মুছে ফেলব। বিজেপি জীবনযাপনের একটা রাজনৈতিক পথ দেখিয়েছে। আমাদের প্রয়াস অন্য পথ দেখানোর, যেটি হল প্রেমের এবং ভারতের পথ। আমরা একটি ছোট পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্বেষের বাজারে ভালোবাসার দোকান খোলার চেষ্টা করছি।’

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি এখানে মোতায়েন থাকা সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং সেনা কর্মীদের বলতে চাই যে আমি সহিংসতা বুঝি। আমি এটা বুঝি। যারা এটা দেখেননি তারা বুঝতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং আরএসএসের লোকেরা এটা বুঝতে পারে না। আমরা এখানে ৪ দিন হেঁটেছি। 

আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে কোনও বিজেপি নেতা এভাবে চলতে পারবেন না। এটা এজন্য নয় যে, জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ তাদের হাঁটতে দেবে না, বরং তারা ভীত।’  

প্রবল তুষারপাতের মধ্যে আজ শ্রীনগরে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এ সময়ে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ সমগ্র কংগ্রেস নেতৃত্ব ছাড়াও বিরোধী দলের অনেক নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

 ডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিআই, আরএসপি এবং আইইউএমএল-এর নেতারা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ