শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে প্রস্তুত ন্যাটো?

৩০ জানুয়ারি, নিউজ উইক, তাস: রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান রব বাউয়ার সম্প্রতি নিজেদের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

ন্যাটোর সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান রব বাউয়ার রয়্যাল নেদারল্যান্ডস নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল।পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল আরটিপিকে তিনি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা হয়তো এখন কিয়েভের প্রতিবেশীদের দিকে প্রসারিত হতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া ন্যাটোভুক্ত কোনো একটি দেশে হামলা চালিয়ে রেড লাইন অতিক্রম করলে ন্যাটো তার প্রতিক্রিয়া জানাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ন্যাটোকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করা উচিত। কারণ বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক উদ্যোগ রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আপনার শত্রুর কাছে আরও ভালো অস্ত্র থাকাটা শত্রুর সমস্যা নয়। এটা আপনার সমস্যা।’

এদিকে চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস বলেছে, ইউরোপে ‘আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের’ বিপদ বাড়ছে। চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং টিভি ভাষ্যকার গান ঝংপিং রবিবার গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, ‘কিয়েভ সব সময় ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের জন্য তার ন্যাটো মিত্রদের টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।’

এর আগে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া ন্যাটো দেশগুলো বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

জাপোরিঝিয়ার ৯টি গ্রাম নিয়ন্ত্রণে : জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অভিযানের সময় ৯টি গ্রাম রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উই আর টুগেদার উইথ রাশিয়া আন্দোলনের নেতা ভ্লাদিমির রোগভ।

রোববার রসিয়া-১ টেলিভিশনে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনারা জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে যুদ্ধের এনগেজমেন্ট লাইন বরাবর এগিয়ে চলেছে। অনুসন্ধানমূলক আক্রমণে শত্রুদের ৯টি গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং এই গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। এটি বেশ বড় সাফল্য।’

জাপোরিজিয়া অঞ্চলে যুদ্ধ নাটকীয়ভাবে ২০ জানুয়ারিতে থেকে তীব্র হয় যখন ওরেখভো এলাকার আশেপাশের চারটি অঞ্চল রাশিয়ান বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়। একই দিনে, রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাপোরিজিয়া অঞ্চলের লোবকোভয়ে শহরের মুক্তির কথা জানিয়েছেন।

পরে জানা যায়, রুশ বাহিনী গুলিয়াইপোল শহরের দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি শক্ত ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ