বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

ঘাটাইলে ভোজন রসিকদের জন্য রতনের পিয়াজু

মোঃ খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : খাবারের প্রতি ছোট থেকে বড়দের মাঝে রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। আর আকর্ষণ শুধু বর্তমান যুগে নয়। এটা চলছে যুগের পর যুগ। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় কোন খাবারের নাম ব্যক্তির নামের সাথে জুড়ে দিয়েছে। তেমনি বিখ্যাত হয়েছে তার নামের ওপর। তেমনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পৌর এলাকায় অবস্থিত রতনের পিয়াজু নাম করা খাবারের মাঝে একটি। উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে ছোট বড় রাজনৈতি নেতৃবৃন্দ এমন কোনো মানুষ নেই রতনের পিয়াজু পছন্দ করে না। দুপুর হলে উপজেলা পরিষদের বিপরীত দিকে অবস্থিত দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজু কিনতে হয়। শুধু পিয়াজু নয় সিংগারা, ডালপুরি, ছোলা বুট সহনীয় পর্যায় দামে মানুষ খরিদ করে খাচ্ছে।

পুরো নাম রতন সিংহ স্বাধীনের সময় বরিশাল জেলার বাবুপুর থেকে টাঙ্গাইল জেলা মধুপুর উপজেলার মদন গোপালের আঙ্গিনায় বসবাস শুরু করে। সেখান থেকে প্রথমে তাজমহল হোটেল, সুজন হোটেল, পরে শাহিন হোটেলে কাজ শুরু করে। প্রথমে কলেজ মোড় একটি চায়ের দোকান করলেও পরে ব্যবসার কলেবর বাড়িয়ে নানা মুখ রোচক ভাজি তেরি করে থাকেন। তার দোকানের ৫টাকায় দুটো পিয়াজু, সিংগারা ৫ টাকা, ডালপুরি ৫ টাকা, ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

ভোজন রসিক হাবিুবর রহমান জানান, আমারা সব সময় রতনের পিয়াজু খাওয়ার জন্য অনেক দূর থেকে আসি। স্কুল কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। রতনের পিয়াজু প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। তার পিয়াজুর দোকান চালিয়ে একটি পুজারানী রানী সিংহ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ছেলে বিজয় সিংহ কলেজে পড়াশোনা করে।

রতনের পিয়াজু সবার কাছে সমাদৃত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রতন সিংহ জানান, আমি যত দিন বেঁচে আছি ততদিন চেষ্টা আমার তৈরি খাবার যেনো সবার কাছে প্রিয় থাকে সে ভাবেই বানানোর জন্য চেষ্টা করে যাবো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ