শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

কৃষকেরা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছেন না

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা : বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা কম হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না। এছাড়া ধানের মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও টাকা পাওয়া নিয়ে ব্যাংকে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। সিরাজগঞ্জে সাতটি সরকারি খাদ্যগুদামে এবার তিন হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার (১০জানুয়ারি) পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি গুদামে ২০০ কেজি ধান সংগ্রহ হয়েছে। বাকি ছয়টি গুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে নয় হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন চাল এবং তিন হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ১৬৩ দশমিক ৯৬০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হলেও প্রায় দুই মাসে ২০০ কেজির বেশি ধান কিনতে পারেনি খাদ্যগুদাম।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত বছরের ১৭ নবেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। ধান সংগ্রহ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ এবং চাল ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষক আকবর আলী বলেন, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। আবার পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের চাঁদা, এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম পাচ্ছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ