শনিবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

স্পেনকে হারিয়ে নকআউট পর্বে জাপান

স্পোর্টস ডেস্ক : চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে চমকে কাতারের অভিযান শুরু করে জাপান। মাঝে কোস্টারিকার কাছে হারলেও বৃহস্পতিবার স্পেনকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে তারা। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ২-১ গোলে জিতেছে জাপান। এ জয়ে শুধু শেষ ষোলোর টিকেটই নয়, গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তারাই।একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে জার্মানি। তাদের সমান ৪ পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন।

 ম্যাচের শুরু থেকেই চিরচেনা রূপে স্পেন। বলের দখল নিজেদের কাছে গোলমুখ উন্মোচনের চেষ্টা করে তারা। বিপরীতে জাপানের পরিকল্পনা ছিল ৫ জনকে নিচে রেখে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করা।তবে জাপানের এই কৌশল মুখ থুবড়ে পড়ে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। দারুণ এক আক্রমণে গোল করে এগিয়ে যায় স্পেন। সেজার এজপিলিকুয়েতার মাপা ক্রসে হেড দিয়ে লা ফুরিয়া রোহাদের এগিয়ে দেন আলভারো মোরাতা।এগিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখে স্পেন।জাপান বলের দখল নিলেও স্পেনের কাউন্টার প্রেসিংয়ে বল বেশি সময় কাছে রাখতে পারছিল না তারা। এশিয়ান দলটি অবশ্য পিছিয়ে পড়েও ডিফেন্স ছেড়ে আসার সাহস দেখাতে পারছিল না।প্রথমার্ধে স্পেনের দুর্দান্ত পজিশনিং এবং মাঝ মাঠে পাসের পশরায় রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠছিল জাপানের। বলের খোঁজে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন শুধু। যদিও তাতে লাভ কিছুই হচ্ছিল না।তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পেনকে দেয় জাপান। কৌশল বদলে স্পেনকে পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা করে তারা। যার ফল আসে ৪৮ মিনিটে। স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন রিতসু দোয়ান। বলে হাত লাগিয়েও সেটিকে বাইরে পাঠাতে পারেননি উনাই সিমন। বলের গতি পরাস্ত হন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

তবে নাটক জমে ওঠে ম্যাচের ৫১ মিনিটে। দারুণ এক আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সে ঢুকে বল পাস দেন দোয়ান। সেই বল কাট ব্যাক করে আও তানাকার কাছে পাঠান কারোরু মিতোমা। নিঁখুত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তানাকা। তবে মিতোমা বল কাটব্যাক করার আগে বল গোল লাইন পেরিয়েছে কিনা এমন সন্দেহ হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জাপানের পক্ষে যায় এবং ম্যাচে লিড নেয় জাপান।পরপর দুই গোল হজম করে চাপে পড়ে যায় স্পেন। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্পেন। অন্য দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তবে তারাও আর গোল পায়নি। যদিও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। জাপান পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়।

এবার নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নকআউট পর্বে উঠলো জাপান। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। এরপর ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষেলোতে জায়গা করে নিয়েছিল দলটি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ