বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

দক্ষিণাঞ্চলে শিরীষ গাছে সড়ক ॥ বন উজাড়

মোঃ ফিরোজ আহমেদ পাইকগাছা : খুলনার পাইকগাছায় পোকার মাধ্যমে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার শিরীষগাছ। পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ, উপজেলায় লক্ষ লক্ষ শিরীষগাছ রয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে প্রায় লক্ষাধিক গাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরে গেছে। বাকি জীবিত গাছগুলোও শিগগির মরে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে রোগটিকে চিহ্নিত করে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ উপজেলাবাসী। জানা গেছে, এ শিরীষগাছগুলো শিশুগাছ নামে পরিচিত। আবার কেউ কেউ এগুলোকে রোড শিরীষ নামেও চেনেন। গদাইপুর ইউনিয়নের মটবাটি গ্রামের ইউনুছ আলী বলেন, ‘আমার বাগানে প্রায় ছোট-বড় ২০০ শিরীষগাছ রয়েছে। এগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে ভাইরাসগুলো গাছের ডালে সাদা সাদা দেখা যায়, পরে পোকার জন্ম নেয়। গাছগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ডালের রস চুষে ফেলে এবং সব পাতা পড়ে গাছ শুকাতে শুরু করে। তিনি ইতিমধ্যে প্রায় ৪০টি গাছ অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। একই এলাকার দিলীপ বিশ্বাস জানান, ‘আমার একটি গাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০টি গাছ আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে জুলফিকার, রহমত ও রাজুর গাছ আক্রান্ত হয়েছে। কাঠ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের ও আজিবর রহমান জানান, উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাড়ুলী, কপিলমুনি, রাড়ুলী, হরিঢালীর ইউনিয়ন থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত শিরীষগাছ কিনে এখন বিক্রি করতে পারছি না। এসব ইউনিয়নে প্রায় ৮০ শতাংশ শিরীষগাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ গাছ কিনে বিক্রি না হওয়ায় বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর লোকসান গুনতে হচ্ছে। এদিকে পাইকগাছাসহ আশপাশের এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোরেরা প্রতিদিন ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়ছে শিরীষগাছের কথিত ভাইরাস পোকার সন্ধানে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি পোকা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এই পোকা কিনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, তা কেউ জানে না। শোনা যাচ্ছে, ওষুধ তৈরির জন্য এগুলো খুলনা ও ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ