শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

দরিদ্র পরিবারগুলো দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: কাজীপুরে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। বাজারে চাল, ডাল, গোশত, মাছ, ডিম, তরি-তরকারি, শাক সবজি মসলাসহ অস্বাভাবিকভাবে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির দরুন অসহায় দুস্থ পরিবারগুলো দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে গরুর গোশত ৬০০ টাকা কেজি, ছাগলের গোশত ৮০০ টাকা কেজি, মহিষের গোশত ৬৫০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ২৬০/২৭০ টাকা কেজি, ইলিশ মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৮০ টাকা কেজি, চিংড়ি বড়গুলো ১০০০ টাকা এবং ছোটগুলো ৮০০ টাকা কেজি, মাগুর মাছ ৫০০ টাকা কেজি, নদীর ছোট মাছ ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা কেজি। বর্তমানে বাজারে শাকসবজি পাওয়াই যাচ্ছেনা। বেগুন ৬০ টাকা কেজি, মুখি ৬০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, আদা ১২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, ছোট সাইজের লাউ ৩০-৪০ টাকা পিস, রসুন ৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি, আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা ও সরিষার তেল ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চাল মোটাটা ২,২০০ টাকা মণ ও চিকনটা ২,৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। হলুদ, মরিচ, জিরা, সজ তিল, লবণসহ অনুরূপভাবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনমজুর বুলমাজন বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দরুন ও কাজ না থাকায় অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছি। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির দরুন দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলো দুর্বিষহভাবে জীবন যাপন করছে। তাই এলাকাবাসী দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ