শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

দৌলতপুরে ভাইরাসজনিত গরুর রোগ ॥ আতঙ্কে খামারিরা

এলএসডি রোগে আক্রান্ত গরু

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসজনিত একধরনের গরুর রোগ। যা ‘লাম্পি স্কিন ডিজিস’ নামে পরিচিত। এতে গরুর গায়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ফোসকা বা ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গরু পালনকারী ক্ষুদ্র খামারিসহ সবধরনের খামারিদের মাঝে। তাদের অভিযোগ এ রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রাণী সম্পদ বিভাগের নেই কোন তদারকি।   

গরু পালনকারীরা জানিয়েছেন, কুষ্টিয়াসহ জেলার দৌলতপুরে গরু পালনকারী খামারীদের মাঝে নতুন করে রোগ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের সবচেয়ে বেশি বিস্তার ঘটেছে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায়। এ উপজেলার প্রতিটি ক্ষুদ্র খামারির পালনকরা গাভী বা গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ বিভাগের কোন দেখভাল বা তদারকি না থাকার অভিযোগ খামারিদের। ফলে খামারিরা তাদের পালনকরা গরু নিয়ে রয়েছেন চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায়। খামারিরা জানান, তাদের গরুর গায়ে প্রথমে ফোসকা দেখা দিচ্ছে। পরে তা গরুর সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ঘা বা ক্ষত দেখা দিচ্ছে। গরুর এ রোগ হলে গরু খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে এবং গরু শুইয়ে থাকলে আর উঠে দাঁড়াতেও পারছেনা। গরুর এ রোগ দৌলতপুরের প্রায় সব গ্রামেই ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসার অভাবে অনেকের গরু মারাও গেছে। দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে তারা গরুর চিকিৎসা দিতে চান না। আবার দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ বিভাগের চিকিৎসককে গরুর চিকিৎসার জন্য ডাকা হলে তিনি ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা ভিজিট চান। না দিলে তিনি যেতে চাননা। দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ অফিস ও অফিস সংলগ্ন পশু চিকিৎসার দোকানগুলিতে একাধিক দালাল রয়েছে। দালালরাই মূলত দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ অফিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ