তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরাজীর্ণ ভবন ও অব্যবস্থার মধ্যে চলছে চিকিৎসা
খুলনা ব্যুরো : নানা সঙ্কটেও জরাজীর্ণ ভবনে খুলনা জেলা তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে। পাশপাশি জনবলসহ রয়েছে চিকিৎসক সঙ্কট। মাত্র ২৬ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১২ জন চিকিৎসক। এছাড়া অচল, বিকল অবস্থা রয়েছে এক্স-রে মেশিন। নেই দক্ষ অপারেটরসহ রেডিওলজী গ্রাফার, অপারেশন ব্যবস্থা থাকলেও সার্জারী ও কনসালটেন্ট, গাইনী চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। পুরাতন ছাদ ফাটা রুমে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। আবাসিক ভবণগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেহাল জরাজীর্ণ অবস্থা রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবন দ্রুত ভেঙে না ফেললে যে কোন সময় ভবনগুলোতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর যথাযথ নজর না থাকায় সেবা প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসহায় গরীব রোগীরা।
ভুক্তভোগী রোগী ওহিদুর রহমান বলেন, জরুরি মুহূর্তে অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে আসলেও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে পরবর্তীতে আবার খুলনা নিয়ে যেতে হয় । এখানে প্যাথলজিসহ, অপারেশন, ব্যবস্থা থাকলে ও কার্যক্রম নেই। এতে করে আশে পাশের বেসরকারি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারগুলো লাভবান হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকার এসব চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ক্রয় করলেও কোন উপকার হচ্ছেনা গরীব রোগীদের জন্য। এছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতর নদীর কূলে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কোন চিকিৎসক চাকরি করতে অনীহা প্রকাশ করে। যে কোনভাবে এসব চিকিৎসকরা অন্যত্র বদলী হতে দৌড়ঝাপ শুরু করে। এখানে বর্তমান টি, এইচ ও ডা. হেলেনা আক্তার তিনি নিজেও তার রুমে বসে রোগী দেখেন। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খতে হচ্ছে।
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউপিএইচপিও ডা. হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালটিতে বর্তমান কোন টেকনেশিয়ান নেই যে কারণে এক্স-রে মেশিনটি অকার্যকর, বিকল, অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া নেই কোন প্যাথলজিস্ট চিকিৎসক বা টেকনেশিয়ান, অপারেশন করার সব ইকুইপমেন্ট থাকলেও গাইনী কনসাল্টন্ট ও এনেসথেশিয়া চিকিৎসক হিসেবে আমার কাজ করতে হয়। এছাড়া সার্জারী চিকিৎসক নেই যে কারণে অপারেশন রুম ও তালাবদ্ধ রয়েছে হাসপাতালটিতে। এর আবাসিক ভবনগুলো পুরাতন ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালটির ভবণ থেকে বৃষ্টির সময়ে ছাদ থেকে পানি পড়ে। আমরা বিষয়টি খুলনা এইচইডি বিভাগকে অবগত করেছি। তারা এসে মাঝের মধ্যে হাসপাতালটি মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবারো পুরাতন অবস্থায় চলে আসে। এখানে ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীদের খুবই কষ্ট হয়।
খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। আমি নিজেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে আমরা নতুন ভবন ও হাসপাতালটি ১০০টি শয্যার জন্য চিঠি দিয়েছি খুলনা এইচইডি অধিদপ্তরে। এছাড়া মাসিক মিটিং এ প্রায় বলা হচ্ছে নতুন ভবনের জন্য দ্রুত একটা ব্যবস্থ্যা হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মঞ্জুর মুরশিদ বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নিতে বলছি। মূলতঃ সিভিল সার্জন জেলাগুলো দেখভাল করে তাপরপরও আমি বিষয়টি দেখছি এবং দ্রুত এর একটি সমাধান করব।