নারী ফুটবল একাডেমির সব খরচ বহন করবে সরকার
স্পোর্টস রিপোর্টার: বাফুফে নারী ফুটবল একাডেমির সব খরচ বহন করবে সরকার। রূপায়ণ গ্রুপ আয়োজিত সাফজয়ী নারী দলের সংবর্ধনায় এমন কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এদিকে সাফজয়ী নারী ফুটবলারের বিদেশি লিগে খেলার এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। অনুষ্ঠানে সাফজয়ী নারী দলকে ৩০ লাখ টাকা পুরস্কার দিয়েছে রূপায়ণ গ্রুপ।
দেশের ফুটবলের উন্নয়নে এগিয়ে আসছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। যেটা ইতিবাচক দিক। যদিও সংবর্ধনায় আসতে পারেননি রাঙ্গামাটির ফুটবলাররা। তাতে কি, যারা এসেছেন সবাই সিক্ত হয়েছেন ভালোবাসায়।সাফজয়ী নারী দলের সদস্য মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আমাদের যে এত ভালোবাসা আর সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে এটা আমাদের খেলার প্রতি আরও অনুপ্রাণিত করবে। আমরা আরও উৎসাহ পাব ভালো খেলা উপহার দেওয়ার। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলে প্রতিদান দেওয়ার এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার।'
সাফে ইউরোপিয়ান স্টাইলে গোল করেছেন সাবিনা-স্বপ্নারা। যা দেখে তাদের দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশকিছু ক্লাব। এখনই মেয়েদের বিদেশি লিগে খেলার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।তিনি বলেন, সিনিয়র মেয়ারা পরিণত হচ্ছে। তো আমি মনে করি, এ সময়ে আমাদের বিদেশি লিগগুলো খেলা খুবই জরুরি। নেপালের মাটিতে এবার যে ফুটবল খেলেছে, আশা করি আমরা সামনের মৌসুমে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান সব লিগেই আমরা আমাদের মেয়েদের দেখতে পারব।'
এদিকে ফুটবলের উন্নয়নে এডিপিপি চালু হলে বাফুফে ভবনের নারী একাডেমির সব খরচ বহন করবে সরকার। জানালেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এটার এডিপিপি প্রস্তুত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারব এবং এটা যদি আমরা করতে পারি, ফুটবল ফেডারেশন আপনারা জানেন, ফিফা থেকে, এএফসি থেকে বিভিন্ন ধরনের ফান্ড তারা পায় এবং সেটা দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চালায়, স্পনসরের থেকে পাওয়া টাকায় কার্যক্রম চালায়, এর পাশাপাশি সরকারিভাবে কিন্তু আমরা সরাসরি আর্থিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এই একাডেমিগুলোকে ভবিষ্যতে চালানোর ব্যাপারেও আমরা সহযোগিতা করতে পারব।’