খুলনায় ভুল অপারেশনে গৃহবধূর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগরীতে একটি ক্লিনিকে ত্রুটিপূর্ণ অপারেশনে ইতি (২২) নামের এক গৃহবধূর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে এ অপারেশন করেন বলে অভিযোগ রোগীর অভিভাবকদের। পরে রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেয়া হয়। সেখানে গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার পুনরায় তার অপারেশন হয়েছে।
নগরীর ২৮ বাগমারা ১ম গলির বাসিন্দা প্রসূতি ইতি’র পিতা মো. বাঙালি খাঁর অভিযোগ, প্রতিবেশী বাসিন্দা নার্স নাজুর প্ররোচনায় নগরীর মুসলমানপাড়া এলাকার ক্লিনিকে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভর্তি করা হয় ইতিকে। সেখানে ভর্তির পর সিজারের জন্যে ১২ হাজার টাকা চুক্তি হয়। তখন ৪ হাজার টাকা জমাও দেয়া হয়। সোমবার সকালে ইতিকে সিজার করেন চিকিৎসক। একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। অপারেশনের পরও জ্ঞান ফেরেনি ইতির। আবার রক্তক্ষরণ চলতে থাকে অবস্থা বেগতিক দেখে অপারেশনের জমাকৃত অর্থ ফেরত দেন ক্লিনিকের সংশ্লিষ্টরা। মুহূর্তে ক্লিনিক ছেড়ে সটকে পড়েন সকলেই। মঙ্গলবার সকালে জীবন রক্ষার্থে রোগীকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা রোগীকে দেখে জানিয়েছেন, রোগীর জরায়ুনাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ অপারেশনের কারণে রক্তক্ষরণ চলছে; দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনরায় অপারেশন করতে হবে। পর্যায়ক্রমে ৬ ব্যাগ রক্ত দিয়ে পুনরায় অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন-আরও রক্ত লাগবে।
মো. বাঙালি খাঁ আরও বলেন, এতো অল্প বয়সে আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিল ওরা। মেয়েটির জরায়ুনাড়ি কেটে ফেলায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটির মীমাংসায় স্থানীয় কাউন্সিলররা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, তবে ফলপ্রসূ হয়নি।
তবে ক্লিনিকের সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অপারেশন হয়েছে সকালে, রক্তক্ষরণ শুরু হয় বিকেলে। অপারেশনের কোনো ত্রুটি ছিল না। নরমাল ডেলিভারি হলেও তো রক্তক্ষরণ হতে পারে, তেমনি ঘটনা ঘটেছে এখানেও।’