ফের ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
স্টাফ রিপোর্টার: চলতি সপ্তাহের টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর গতকাল চতুর্থ দিনে এসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। একইসাথে বেড়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকও। তবে মূল্যসূচক বাড়লেও দুই বাজারেই যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা। তিন কার্যদিবস টানা দরপতনের পর গতকাল বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদনের শুরুতে দেখা দেয়া সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। অবশ্য দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে দরপতনের তালিকা বড় হলেও মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির। আর ১১৮৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১৪৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী পেপার, ইস্টার্ন হাউজিং, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।