মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

এক বছর পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার : এক বছর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জয়ের পর শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৩২ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে।  এর মাধ্যমে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর আবারও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো পারলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করতে পারে আরব আমিরাত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ ম্যাচেও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংস ওপেন করতে নামা  মিরাজ ও সাব্বির রহমানের  ১টি করে চাওে প্রথম ওভারে  ৯ রান পায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে মিরাজ ১টি চার ও সাব্বির ছক্কা মারলে ১৪ রান জমা হয় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে আমিরাতের বাঁ-হাতি স্পিনার আরইয়ান লাকরা  ১২ বলে ৯ রান করা সাব্বিরকে আউট করলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে শুরুতেই ২টি চার মারেন লিটন। এতে ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪৮ রান পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হবার পরও রানের চাকা দ্রুত ঘুড়নোর চেষ্টা করেন লিটন। আরও ২টি চার মারেন তিনি। কিন্তু নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিদায় নিতে হয় লিটনকে। ৪টি চারে ২০ বলে ২৫ রান করে আরব আমিরাতের স্পিনার আয়ান আফজাল খানের প্রথম শিকার হন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে মিরাজের সাথে ২৮ বলে ৪১ রান স্কোর বোর্ডে জমা করেন লিটন। লিটনের বিদায়ে উইকেটে আসেন আগের ম্যাচের হিরো আফিফ হোসেন। উইকেটে গিয়েই মারমুখী হয়ে উঠেন তিনি। ২টি চার ও ১টি ছক্কা আসে আফিফের ব্যাট থেকে। তবে উইকেটে সেট হয়ে উঠার আগেই ১০ বলে ১৮ রান করা  আফিফকে দ্বিতীয় শিকার বানান আফজাল। ১১তম ওভারে আফিফ যখন ফিরেন তখন দলের রান ৯০। পাঁচ নম্বরে নামা মোসাদ্দেক হোসেনের ছক্কায় ১৩তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শ স্পর্শ করে। ১৪ ও ১৫তম ওভারে মিরাজ ও মোসাদ্দেক ২টি করে চার মেরে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ান। কিন্তু ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে থামতে হয় দারুন খেলতে থাকা মিরাজকে। আরব আমিরাতের পেসার সাবির আলির বলে লেগ বিফোর আউট হন মিরাজ। ৫টি চারে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। মিরাজের আউটের পর রানের গতি কমে যায় বাংলাদেশের। তার আউটের পর, পরের ১৯ বলে মাত্র একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি পায় টাইগাররা। একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন ইয়াসির আলি। এর মাঝে ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন মোসাদ্দেক। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে ২৭ রান তুলেন মোসাদ্দেক। ১৯তম ওভারে  মাত্র ৭ রান পায় বাংলাদেশ। বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংসের শেষ ওভার শুরু করেছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে পরের চার বলে আসে, চার রান। আর শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৯এ পৌঁছে দেন সোহান। প্রথম ম্যাচেও ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরেছিলেন সোহান। ১৩ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন ইয়াসির। ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। দু’জনই  ১টি করে চার-ছক্কা মারেন। আরব আমিরাতের আফজাল ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৩৭ রানে আটকে যায় আরব আমিরাত। দলের পক্ষে রিজওয়ান সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। হামিদ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান। বাংলাদেশের মোসাদ্দেক ২ ওভারে ৮ রানে ২ উইকেট নেন। ১টি শিকার করেন তাসকিন-নাসুম-এবাদত। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ফলে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করে দলটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড :

বাংলাদেশ : ১৬৯/৫, ২০ ওভার (মিরাজ ৪৬, মোসাদ্দেক ২৭, আফজাল ২/৩৩)।

সংযুক্ত আরব আমিরাত : ১৩৭/৫, ২০ ওভার (রিজওয়ান ৫১*, হামিদ ৪২, মোসাদ্দেক ২/৮)।

ফল : বাংলাদেশ ৩২ রানে জয়ী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ