৪০ লাখ টনেরও বেশি শস্য রফতানি ইউক্রেনের ----এরদোগান
২৪ সেপ্টেম্বর, আনাদোলু, আইএইচএ : ইস্তাম্বুল শস্য চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের বন্দর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ টনেরও বেশি শস্য রফতানি করা হয়েছে। এই রফতানি প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ার শস্য ও সার রফতানির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন এরদোগান। তিনি বলেন, এটি দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করবে। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলার ঘটনায় ইউক্রেনীয় শস্য রফতানি মুখ থুবড়ে পড়ে। দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটতে গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হয় কিয়েভ। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ বলা হলেও এটি ইস্তাম্বুল শস্য চুক্তি নামে পরিচিতি পায়। এর আওতায় ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় বন্দর ছাড়তে শুরু করে শস্যবাহী বিভিন্ন জাহাজ।
চুক্তিতে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের পাশাপাশি রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য এবং সারও বিশ্ববাজারে আনার কথা বলা হয়েছে। গত শুক্রবার এ বিষয়টির ওপর জোর দেন এরদোগান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘দ্বৈত নীতির’ অভিযোগ : যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘দ্বৈত নীতির’ অভিযোগ তুলেছে দেশটির ন্যাটো মিত্র তুরস্ক। শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এমন অভিযোগ তুলেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ।
নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে। এটি স্বাভাবিক। তবে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের পদক্ষেপের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ নিয়েছে ওয়াশিংটন। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু লবির নেতিবাচক প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেন মেভলুত কাভুসোগলু। এজিয়ান সাগরে গ্রিসের শত্রুতামূলক আচরণেরও সমালোচনা করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘কেউ এই উসকানি নিয়ে কথা বলে না। আমাদের শুধু তুরস্কের ন্যায্য প্রতিক্রিয়া নিয়েই কথা শুনতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সমান আচরণ দেখতে পাচ্ছি না। উদাহরণস্বরূপ, ভারতকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও একই ঘটনায় তুরস্ককে সিএএটিএসএ (কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভারসারিজ থ্রু স্যাংশনস অ্যাক্ট)-এর আওতায় রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, সিরিয়ার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কয়েক টন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। অথচ মিত্র রাষ্ট্র হয়েও তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে।