মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
Online Edition

রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতীর তীর জুড়ে স্থাপনা ॥ জঞ্জাল এসে পড়ছে নদীতে ॥ জোয়ার-ভাটায় বাধা

 

নুরুল আবছার চেীধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতীর তীরে পাউবোর ভূমি দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছেন শত শত অবৈধ স্থাপনা। এসব দখল কাজ চলছে প্রায় দেড়যুগ ধরে। বর্তমানে ইছামতী নদীর তীরে রাঙ্গুনিয়া ২৬ কিলোমিটার অংশে রয়েছে কয়েক শতাধিক দোকানপাট। জানা যায়, গত বছর জুনে ইছামতীর দখলদারকে উচ্ছেদে নোটিশ দেয় পানি উন্নয়ান বোর্ড (পাউবো)। নোটিশে তাদের বিরুদ্ধে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নিজ দায়িত্বে অপসারণ না করলে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশ প্রদানের প্রায় এক বছর অতিক্রম হলেও কোনো পক্ষই কথা রাখেনি। না দখলদাররা, না পাউবো। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, যেসব ব্যক্তি পাউবোর জায়গা দখল করেছে তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। যারা নোটিশ পেয়েও এখনও দখলে রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। দখলদারদের তালিকা সরকারি বিভিন্ন দফতরেও জমা দেওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই এলাকার ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অনেকে স্থায়ী ও অস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করেছেন। তাদেরকে মৌখিকভাবে বলা হলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকেনি। এবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতেও দখল না ছাড়ায় উচ্ছেদসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সরেজমিনে গিয়ে একাধিক স্থানীয় লোক বলেন, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের কারণে ইছামতী নদী মরে যাচ্ছে। এমনকি এসব স্থাপনার বর্জ্যে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ইছামতী। এতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ইছামতী। বন্ধ হেয়ে যাচ্ছে পানি প্রবাহ। ফলে জোয়ার-ভাটা বাধাগ্রস্থ হয়ে আশেপাশের কৃষিক্ষেতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই বিষয়ে পাউবোর স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানান, রোয়াজারহাটে ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সেচ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হওয়াসহ ওই স্থানে নিমির্ত পাউবোর অবকাঠামোসমূহ হুমকির সস্মূখীন হয়েছে। এই অবকাঠামোর স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় পাউবোর কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পে (ইছামতী ইউনিট) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে পাউবো তথা রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সম্প্রতি নদী দখলদার এবং পাউবোর জায়গা দখলকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ২৭ দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ইছামতী নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিপণী বিতান, ভাড়া বাসাসহ অবৈধ স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নোটিশকে পাত্তা দিচ্ছে না দখলদাররা। তাদের বিরদ্ধে কোনো রখম ব্যবস্থা না নেওয়ায় দখল প্রক্রিয়া আরো ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ