শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

বিএনপির সমাবেশে হামলাকারীদের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মুন্সিগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের গায়েবানা জানাযায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের যেসমস্ত অতি উৎসাহী কর্মকর্তা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে, তাদের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকারের আর কত রক্ত দরকার। আর কত রক্ত দিলে এই স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসন থেকে বিদায় নিবে। আজকে দেশের মানুষের কোন অধিকার নাই। সামান্য ব্যানার নিয়ে মিছিল করলেই বাধা দিয়ে গুলি করা হচ্ছে। অথচ সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে  গুলিবর্ষণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জানান দিয়েছে, তারা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়। সমাবেশে নিজেরা গুলি করে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কিন্তু এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে আমরাও পাল্টা মামলা করবো। গত শুক্রবার বাদে জুমা কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও যুবদলের উদ্যোগে শাওনের গায়েবানা জানাযায় তিনি এসব কথা বলেন।জানাযায় ইমামতি করেন দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আবদুল করিম।

 ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোলায় আবদুর রহিম, নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন ও মুন্সিগঞ্জের শাওনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়নকে ভয় করে না। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে।

এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আন্দোলন দমাতে নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে সরকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ফুটে উঠেছে। 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষেই মুন্সিগঞ্জের সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। ভোলা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে হত্যার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই অংশ। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, থানা বিএনপি'র সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, আবদুল বাতেন, ইদ্রিস আলী, ইউনুস চৌধুরী হাকিম  প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ