মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে  -গয়েশ্বর 

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বিএনপি। যুগপৎ কিংবা যে কোনও পন্থায় হোক ঐক্য গড়ে তোলা হবে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি আদায়ে খুব শিগগিরই এই বিষয়ে সুরাহা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেমের স্মরণ সভায় ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, জাতীয় ঐক্যের মধ্যে দিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। প্রথমে সরকার পতনের মাধ্যমে নির্বাচন আদায় করা হবে। এরপর আগামীর রাষ্ট্র মেরামতে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জঙ্গীবাদকে পুঁজি করে যারা দেশটাকে লুটপাট করছে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা জরুরি মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, যারা লুটপাটের মাধ্যমে সম্পদ লুণ্ঠন করে তারাই উন্নয়নের কথা বলে। স্বাধীন দেশ পাকিস্তানের চেয়ে অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করা, প্রতারণা করার ফল অনেক ভয়াবহ হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় থাকতে সবরকম চেষ্টা করছে, দেশে বিদেশে ছুটছে জানিয়ে বিএনপি এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সকলে মিলে সরকার হটিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করা হবে, রাষ্ট্রের অনেক সংস্কার করা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের পতনের জন্য সব দলকে একদিনে একসঙ্গে রাজপথে নামতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা পারছি না। তবে আমাদের পারতেই হবে। এছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই।

মান্না বলেন, আমাদের টার্গেট ঠিক করতে হবে। আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি তারা কিন্তু বোকা নয়। তারা খুবই চতুর। কীভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে হয়। কীভাবে আমেরিকাকে একটা ধান্দার মধ্যে ফেলতে হয়, ভারতকে গিয়ে কোন অংশ দিতে হয়, চীনকে কোন অংশ দিতে হয় তারা ভালো করেই জানেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরেক দেশে গিয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে একটু ক্ষমতায় রাখেন আপনাদের কাজে দিবে। তারপর তাদের দলের লোকজন বলছেন যে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজের দায়িত্বে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রী কখনো নিজের দায়িত্বে কথা বলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে তাকে নিয়ে যাননি, কিন্তু আমেরিকা ইংল্যান্ডে জাতিসংঘে তো ঠিকই নিয়ে গেলেন। তার মানে প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে ভারত সফরে গেলেন। কিন্তু গিয়ে কোনো লাভ হয়নি। যখন ভারত সফর থেকে ফিরে এসেছেন তখন গেলেন আমেরিকা ইংল্যান্ডে। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এইযে মিয়ানমার এত গোলাগুলী করছে, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন মিয়ানমারের বিমান আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে কি না তা নিচে থেকে তাকিয়ে বুঝতে পারি নাই। নিচে থেকে তাকিয়ে কি তা বুঝা যায়? মিয়ানমার যদি ইচ্ছা করেও গোলাগুলী চালায় সরকার কিছুই করতে পারবে না। তারা বিরোধীদলের ওপরে অত্যাচার করতে পারে কিন্তু বর্ডারে এত মানুষ মারে সেটার কিছু করতে পারে না।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি’র (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রহমতউল্লাহ প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ