কবিতা বাংলাদেশ-এর ওয়ার্কশপ

জীবনের অভিজ্ঞতাকে শৈল্পিক উপায়ে উপস্থাপন করার নামই কবিতা। কবিতা হচ্ছে শিল্পের শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। শুধুমাত্র শিল্পের জন্য নয়, কালের কাছে বেঁচে থাকার জন্যও নয়; জীবনের জন্য শিল্পচর্চা করতে হবে। ফিরে যেতে হবে বিশুদ্ধ ধারায়। নবীজির কাছে। একজন বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে রাসূলের দেখানো পথেই শিল্প-সাহিত্যের বিশুদ্ধচর্চা সম্ভব। কবিতা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্রসঙ্গ কবিতা’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে কথাগুলো বলেন অনুষ্ঠানের একক বক্তা কবি নাসির মাহমুদ। কবিতা বাংলাদেশ এর অন্যতম সহসভাপতি কবি আশরাফ আল দীন’র সভাপতিত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯ টায় অনলাইন জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। কবিতা বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
ওয়ার্কশপের আলোচক কবি নাসির মাহমুদ আরো বলেন, কবিতাকে সময়ের সাথে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব কবিদেরই। আধুনিকতার যে ধারাবাহিক যাত্রা কবিতাকে সেই যাত্রায় বিজয়ী বেশে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য কবিকে শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার বুঝে কবিতা নির্মাণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছন্দ, মাত্রা, পর্ব, অন্ত্যমিল, অনুপ্রাস, উপমা-উৎপ্রেক্ষা, অলঙ্কার-রূপকের ব্যবহার, ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রয়োগ এবং বিষয়বস্তুর সাথে নান্দনিকতার সম্মিলনের সার্থক প্রয়োগ জানতে হবে। জীবনবাস্তবতা এবং পরাবাস্তবতার বিষয়েও স্বচ্ছ ধারণা রাখা দরকার। সক্রিয় কাব্যভাষা নির্মাণ একজন কবির সার্থকতা। শুধুমাত্র শখের বশে নয়, দায়বদ্ধতার নিরিখে কবিতা চর্চায় সম্পৃক্ত হতে হবে।
কবি হারুন ইবনে শাহাদাত, নাসিমুল গণী, শাহীন সৈকত, ড. মুর্শিদা খানম, মঞ্জিলা শরীফ, ওয়াজেদ বাঙালী, ওয়াহিদ আল হাসান, আমজাদ বিন মেহের, শারমিন সুলতানা, রশিদ জামান, ফসিউর রহমান, সাগর মাহমুদ, শেখ বিপ্লব হোসেন, মুসলীহা তাফহীম, রায়হান সিরাজী, নূরুজ্জামান মল্লিক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আমান উল্যাহ, শিহাব উদ্দিন, মুশাররফ মুন্নাসহ সারাদেশ থেকে কবি-সাহিত্যিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
-সালেকুর রহমান সম্রাট