মাধবদীতে কৃষিজীবী মানুষ ঋণের চাপে চরম দুর্ভোগে
মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : খাদ্যপণ্য ও নিত্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে সংসার চালাতে অনেকেই চড়াসূদে এনজিও ঋণে জড়িয়ে দুঃসহ ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিনযাপন করছেন।
জানা গেছে, এ অঞ্চলের অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও ছোট ছোট কৃষক অন্যের জমিতে বর্গাচাষী হিসেবে ধান রোপন করলেও ধার-দেনা পরিশোধ করার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেকেই বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপে উৎকন্ঠায় পড়ে রয়েছেন। বর্তমান অবস্থায় মাধবদীর পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কিছু কৃষিজীবি মানুষের সাথে কথা বলার সময় তারা জানান এবার সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের ফলন ঠিক রাখতে দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়েছে আর তাতে অনেক ব্যয় বেড়েছে, তবু আশা করছি বোরো ধানের ফলনের পর আমনেরও ফলন মোটামুটি ভালোই হবে কিন্তু বিভিন্ন ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে ধান পাকা বা কাটার সময়ের পূর্বে ঋণ পরিশোধ করবো কিভাবে? প্রতিনিয়ত ঋণদাতাগণ বাড়িতে এসে চাপ সৃষ্টি করেই চলেছেন। আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে হলে থাকার ভিটি বাড়ির জায়গাটুকু বিক্রি করা ব্যতিত কোন উপায় নেই। মাধবদী পৌর শহরের আনন্দী মোড়ের পাওয়ারলোম পার্টস বিক্রেতা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান তার ব্যবসার প্রসার ঘটানোর জন্য ব্যবসা বড় করার প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋন গ্রহন করেন। যখন ঋন গ্রহন করেন তখন তার ব্যবসার বেচা বিক্রির অবস্থা খুবই ভালো ছিলো। তাই নিয়মিত কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পেরেছে। কিন্তু এখন দোকানে আগের চেয়ে বেচা বিক্রি কমে যাওয়ায় ঠিক মতো কিস্তি দিতে না পারায় খুব চাপের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে এমন কি বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তাদের চাপে দোকানে বসতে না পেরে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দোকানে টুকটাক যাই বিক্রি হতো তাও বন্ধের পথে। এখন তারা চেক দিয়ে মামলা করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমি আমার বসত ভিটার বাড়িটুকু বিক্রি করে ঋন শোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাধবদীতে ব্যাংক কিস্তি আদায়ে তেমন চাপ সৃষ্টি না করলেও স্থানীয় কিছু এনজিও কর্মকর্তা এবং সুদের ব্যবসায়ীদের কঠিন চাপে পড়ে অস্থির দিন যাপন করছেন অনেক নি¤œ আয়ের কৃষিজীবী ঋণগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।