শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকোচনের ফলে মন্দা দেখা দিয়েছে

 

১৩ আগস্ট, এএফপি ,আরটি  : যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি দেশটির পরিবারগুলোর উপর কঠিন প্রভাব ফেলছে যা তাদের খরচ কমাতে বাধ্য করছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি জুন থেকে তিন মাসে সংকুচিত হয়েছে, ০.১ শতাংশ। এর কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তা ব্যয়ের কার্যকলাপকে ধীর করে দিয়েছে, গত শুক্রবার অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের প্রকাশিত তথ্য থেকে এসব জানা গেছে। 

বিশ্লেষকদের দ্বারা প্রত্যাশিত ব্রিটিশ অর্থনীতি ০.৩ শতাংশ সংকোচনের প্রকৃত হ্রাস কম। ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে এধরনের মাসিক অনুমানগুলি প্রকাশ করেছে যে গত মে মাসে ০.৪ ও শতাংশ বৃদ্ধির পরে জুন মাসে দেশটির জিডিপি ০.৬ শতাংশ কমেছে। সাম্প্রতিক তথ্যগুলি অর্থনীতির ভোক্তা-মুখী খাতগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করেছে কারণ ব্রিটিশদের ৪০ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করতে হবে। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৪ শতাংশ। এবং আগামী শরৎ পর্যন্ত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গৃহস্থালির খরচ ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড গত সপ্তাহে সতর্ক করেছিল যে ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর থেকে এই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি তার দীর্ঘতম মন্দায় প্রবেশ করবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশের উপরে শীর্ষে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর অর্থনীতির পরিচালক সুরেন থিরু রয়টার্সকে বলেছেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি মন্দার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখনও আসতে পারে। শুধু চলতি বছরে মুদ্রাস্ফীতির অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে দেশটির সরকারের অতিরিক্ত ৩.৪ বিলিয়ন পাউন্ড দরকার। 

৮ অঞ্চলে ভয়াবহ খরা : যুক্তরাজ্যের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে খরা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আট অঞ্চলটি খরা অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। দিনেদিনে যুক্তরাজ্যে শুষ্ক অবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেশটির কয়েকটি অংশে এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাতই হয়নি। গত শুক্রবার ন্যাশনাল ড্রাউট গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে খরা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরিবেশ সংস্থা যে আটটি এলাকায় খরা ঘোষণা করেছে সেগুলো হচ্ছে- ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল, সোলেন্ট অ্যান্ড সাউথ ডাউনস, কেন্ট অ্যান্ড সাউথ লন্ডন, হার্টস অ্যান্ড নর্থ লন্ডন, ইস্ট অ্যাঙ্গিলা, টেমস, লিঙ্কনশায়ার অ্যান্ড নর্দাম্পটনশায়ার এবং ইস্ট মিডল্যান্ডস।  এক নথিতে দেখা গেছে, পরিবেশ সংস্থা আগস্ট মাসে আরও দুটি এলাকায় খরা ঘোষণা করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে ইয়র্কশায়ার এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস।

দীর্ঘায়িত শুস্ক আবহাওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে চার ধরনের জরুরি আবহাওয়া পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এ মাসের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের এক বৈঠকে প্রথম ধাপের জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এবার আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের জরুরি অবস্থা খরা ঘোষণা করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ