শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

স্পোর্টস রিপোর্টার: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানকেই অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবের উপরই থাকবে দেশের টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব। এ ঘোষণা দেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। শুক্রবার রাতে দেশে ফিরে গতকাল দুপুরে গুলশানে নাজমুল হাসানের বাসভবনে দেখা করেন সাকিব। তাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। শুক্রবার দেশে ফেরার পর গতকাল বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তার এমন ঘোষণার পরই তাকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়। অবশ্য অনেকটা অনুমেয় ছিল বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। তবে বেটউইনার ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় তার। পরে চুক্তি বাতিল করে বিসিবিতে চিঠি দেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ফলে মন গলেছে বোর্ডের। এই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সাকিবের কাঁধেই উঠছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব। তবে পূর্ণ মেয়াদে নয়, আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে। গত ১১ আগস্ট ধানমন্ডিতে করা এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন জানান, এবার অধিনায়ক বেছে নেয়া হবে পূর্ণ মেয়াদে, অন্তত ২ বছরের জন্য। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বেছে নিয়ে এশিয়া কাপের পরিকল্পনা সাজিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু বেটিং কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে সাকিব নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেন। তাতে বিসিবি জিরো টলারেন্স দেখায়। সাফ জানিয়ে দেয়, বেটিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি না ভাঙলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না সাকিবের। বিসিবির এমন কড়া অবস্থানের পর সাকিব সেই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বিসিবিকে লিখিতভাবে জানান। তবে চুক্তি বাতিল করলেও বিসিবির নীতিমালা ভঙ্গ করার দায় সাকিবের ওপর ছিল। বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৯ জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাদের মাঝে ৫ জন পেয়েছিলেন স্থায়ী অধিনায়কত্ব। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন শাহরিয়ার নাফিস। ওই একটি ম্যাচেই নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতিয়েছেন দলকে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতান ১৬ ম্যাচে। অফ ফর্মের কারণে নেতৃত্বটা হারালেন তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৮ ম্যাচে জয় এনে দেন ১০টিতে। মুশফিকুর রহিম ২৩ ম্যাচে ৮, সাকিব আল হাসান ২১ ম্যাচে ৭ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ ম্যাচে ২ জয়ের দেখা পান। একটি করে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজনের নেতৃত্বেই হেরেছে দল। নুরুল হাসান সোহান দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতিয়েছে একটিতে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ