তুরাগে বিস্ফোরণে দগ্ধ আর কেউ বেঁচে থাকলো না
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর তুরাগের রাজাবাড়ি এলাকায় ভাঙারি দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শাহীন মিয়াও (২৪) মারা গেলেন। এ ঘটনায় দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে শাহীন মিয়াই বেঁচে ছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে মোহাম্মদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া তুরাগে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, তুরাগে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ছয়জনই রিকশাচালক। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বলেন, সর্বশেষ নিহত শাহীনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
শাহীনের ভাতিজি তামান্না জানান, শাহীনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়। বাবার নাম হাসান মিয়া। তিনি তুরাগের রাজাবাড়ি এলাকায় থাকতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়না তদন্ত শেষে শাহীনের লাশ স্বজনেরা সকালে নিয়ে গেছেন।
গত ৬ আগস্ট দুপুরে এ বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও আলমগীর হোসেন (২৩) মারা যান। পরদিন ৭ আগস্ট রাতে মারা যান মিজানুর রহমান (৩৫) নামের একজন। আর ৮ আগস্ট রাতে মারা যান মাসুম আলী (৩৫) ও আল আমিন (৩০)। মাজহারুল ইসলাম ভাঙারি দোকান ও পাশের রিকশার গ্যারেজের মালিক ছিলেন। মেয়াদোত্তীর্ণ জীবাণুনাশক বের করে বোতল খালি করার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ট্রাকের ধাক্কায় চালকসহ দু’জন নিহত: রাজধানীর শ্যামলীতে থেমে থাকা ট্রাককে পেছন থেকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দুজন নিহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন-থেমে থাকা ট্রাকচালকের সহকারী রনি ও ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের চালক রাজু। তাদের নাম পরিচয় এবং বিস্তারিত এখনো পুলিশ জানাতে পারেনি। গতকাল শনিবার ভোরে মোহাম্মদপুর থানার শ্যামলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল আলম বলেন, ভোরে আন্তজেলায় চলাচলকারী একটি ট্রাকের চাকা শ্যামলী এলাকায় ফেটে যায়। ট্রাকচালকের সহকারী চাকার ত্রুটি সারানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে অন্য ট্রাকের ধাক্কায় দুই ট্রাকেরই চালক এবং থেমে থাকা ট্রাকের চালকের সহকারী গুরুতর আহত হন।
এসআই রাকিবুল আলম বলেন, ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের চালক রাজুকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। থেমে থাকা ট্রাকচালকের সহকারী রনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ট্রাকের চালক হাসান এখন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।