চার ফিফটিতে বাংলাদেশের বিশাল সংগ্রহ

স্পোর্টস রিপোর্টার: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে চার ফিফটিতে ৩০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস ফিফটি করার পর দলের পক্ষে ফিফটি করেছেন এনামুল হক বিজয় আর মূশফিকুর রহিম। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ফিফটি পেয়েছেন। মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ২০ রান করেন। ফলে ব্যাট করা পাঁচজনই গিয়েছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ৩০৪ রানের লক্ষ্য টপকে জয় পেতে হলে রেকর্ড ভাঙতে হবে জিম্বাবুয়েকে। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬১ রানের বেশি টপকে জয়ের রেকর্ড নেই তাদের। এই ৩০৩ রান অবশ্য বাংলাদেশের দলেরও রেকর্ড। হারারেতে এর আগে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩০২ রান, যা ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিল তামিমের দল। টস হেরে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুজনই পেলেন হাফসেঞ্চুরি। তামিম আউটের পর এনামুল হককে নিয়ে চললো লিটনের এগিয়ে চলা। কিন্তু পেশীতে টান লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় সেঞ্চুরি হলো না এই ওপেনারের। এনামুলও পারলেন না শতক পূর্ণ করতে। এরপর মুশফিকুর রহিমও পেলেন ফিফটি। সব মিলিয়ে চার হাফসেঞ্চুরিতে ৩০০ ছাড়ালো বাংলাদেশের স্কোর। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়ৈন্টি সিরিজ হারলেও প্রথম ওয়ানডের ব্যাটিংয়েও দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। গতকাল দুই ওপেনারের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। তামিম-লিটন ক্রিজে পড়ে থেকে একটু একটু করে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন রান। এরমধ্যে তামিম পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরও সামনের দিকে। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। রাজার আঘাতে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। জিম্বাবুইয়েন স্পিনারের বলে ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৮৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে তামিম করেন ৬২ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক ইনিংস তিন অঙ্কের ঘরে নিতে না পারলেও লিটন কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তার শুরুটা ছিল মন্থর। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে চওড়া হতে থাকে ব্যাট। কিন্তু চোট বাধা হয়ে দাঁড়ালো! পায়ের পেশিতে টান লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। তামিমের আউটের পর এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পেশিতে টান পড়ে তার। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন লিটন। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে এনামুলের সঙ্গে ৫০ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন লিটন। আর নিজে বাহারি সব শটে ৮৯ বলে করেছেন ৮১ রান। বিশেষ করে ৭৫ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর থেকেই আক্রমণ বাড়াতে থাকেন। হাফসেঞ্চুরির পর শেষ ১৪ বলে ৩১ রান তোলেন তিনি। লিটনের আউটের পর স্কোর বাড়িয়ে নেওয়ার মিশনে নামেন এনামুল। তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে পেলেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ৭৩ রানে থামতে হয় তাকে। অভিষিক্ত ভিক্টর নিয়াউচির শিকার হওয়ার আগে ৬২ বলের ইনিংসটি সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দেওয়া মুশফিকও কম যাননি। জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে থাকা এই ব্যাটার ওয়ানডে দিয়ে ফিরেই করলেন হাফসেঞ্চুরি। ৪৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে শেষ দিকে নেমে মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। জিম্বাবুয়ের দুই বোলার- নিয়াউচি ও রাজা প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।