শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? কী করবেন?

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বড় স্বাস্থ্যগত সমস্যা। যাঁদের রোজ পেট পরিষ্কার হয় না, মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়, পাশাপাশি দিনে একাধিক বার বাথরুম গেলেও সমস্যার সমাধান হয় না। পানি কম খেলে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। বংশগত কারণে কিংবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পরিপাকতন্ত্রে কু-প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ওষুধের বদলে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। এখানে টিপস থাকলো। কিসমিস: কালো কিসমিস ফাইবার সমৃদ্ধ, যা মলকে আলগা করে এবং সহজভাবে মলত্যাগে সাহায্য করে। এই কারণে, মল পাস করার সময় খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় না। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনায়াসে এড়ানো যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে কিসমিস শুকনো খাবার, তাই তারা আপনার বাত দোষকে বাড়িয়ে তুলতে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া ভালো, হজমে সমস্যা হয় না। মেথি বীজ: মেথি বীজ খেলে আপনার হজমশক্তি উন্নত করতে পারে। কিন্তু পিত্ত দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি এড়ানো উচিত। ১ চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে খাবেন। এই বীজের গুঁড়োও তৈরি করতে পারেন এবং ঘুমানোর সময় গরম পানির সঙ্গে ১ চা চামচ মিশিয়ে খেতে পারেন। আমলকীর রস: আমলকী একটি চমৎকার রেচক। নিয়মিত সকালে খালি পেটে আমলকীর রস খেলে এটি চুল পড়া, অকাল পক্ব চুল, ওজন হ্রাস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাতেও সাহায্য করে। চাইলে কাঁচা আমলকী কিংবা শুকনো আমলকী গুঁড়ো করেও খেতে পারেন। ঘি: ঘি শরীরের পক্ষে ভাল। এটি বিপাককে উন্নত করে। শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি বজায় রাখতে সাহায্য করে যা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-এর মতো চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণের জন্য অপরিহার্য। দুধ: দুধ একটি প্রাকৃতিক রেচক, যা মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে । এটি সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর। গর্ভবতী মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে দুধ পান করতে পারেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা জানান, দুধ খাওয়া খুবই উপকারী। ঘুমানোর সময় এক গ্লাস উষ্ণ দুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য যথেষ্ট। যাদের দুধ সহ্য হয় না তারা খাবেন না। আর ইসবগুলের ভুষি পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন, পাকা পেপে মল নরম করে। রিচ ফুড খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিংস নয়, হালকা গরম পানি খান। উপকার পাবেন। অর্শ বা গেজ হবার আগেই করুন। তা না হলে আরো বিপদ। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ