মহেশখালীতে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি

সরওয়ার কামাল মহেশখালী (কক্সবাজার): কক্সবাজার জেলার পাহাড় সমৃদ্ধ সবুজ শ্যামল ভরপুর সৃষ্টির আদলে গড়া দৃষ্টিনন্দন দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর গ্রাম-অঞ্চলে আগের মত এখন আর চোখে পড়েনা বাবুই পাখির কারুকার্যে তৈরি দৃষ্টিনন্দন বাসা ও বাবুই পাখি। বাবুই পাখিরা বাসা তৈরি করত তাল গাছ, নারিকেল গাছ ও খেজুর গাছের ডালে। পাখিটি দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়। আগেকার সময়ে মহেশখালীর বিভিন্ন পল্লী এলাকায় চোখে পড়ত দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখির বাসা। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী নিপুন বাসা তৈরির কারীগর বাবুই পাখি ও তাদের বাসা। পাখিটি সু-নিপূণ ভাবে খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ কাঁশবনের লতাপাতা দিয়ে সু-উঁচু তালগাছ নারীকেল গাছে চমৎকার আকৃতির বাসা তৈরি করত বুদ্ধিমান বাবুই পাখিরা। বাবুই পাখির বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি মজবুত। মাঝে-মধ্যে খেজুর কিংবা অন্যান্য গাছের শাখাতেও দৃষ্টিনন্দন বাসাটি বাধেঁ। ছোট পাখিটি বুদ্ধিমান ও মেধাবী বলেই এরা সুন্দর বাসা তৈরি করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রবল ঝড়ের বাতাসে সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকে তাদের বাসা।
এক শ্রেণীর শিকারী বাবইু পাখি সহ তাদের পছন্দনীয় বৃক্ষাদি নিধন করার কারণে, হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি ও তাদের বাসা। গত কয়েক বছর আগেও মহেশখালীতে চোখে পড়ার মত ছিল বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু ছোট বুদ্ধিমান এ পাখি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বাসা বোননের কারিগর বাবুই পাখিদের বিলুপ্তির পথ থেকে রক্ষার একটি মাত্র উপায় মানব সমাজের সচেতন মানুষরা ঐক্যবন্ধ হয়ে লোভি শিকারীদের প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে বিলুপ্তি ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।