মোবাইল ফোনের বিভিন্ন গেমে তরুণদের আসক্তি ॥ সামাজিক অবক্ষয়

খুলনা ব্যুরো : দিন দিন বাড়ছে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন গেমস সংখ্যা। আর সেই সাথে বাড়ছে শিশু কিশোর ও উঠতি বয়স তরুণদের মোবাইল গেমস আসক্তি। এতে করে বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। বিশেষ করে অনলাইন গেমস পাবজি ফ্রি ফায়ার ও এনিমি মিলিশিয়া, লুডু, গেমস সহ বিভিন্ন গেমস।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব তরুণদের বিভিন্ন ফাঁকা মাঠ, নির্মাণাধীন বাড়ি, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায় দল বেধে এসব তরুণদের গেমস আসক্তি। তবে এসব গেমস আসক্তি কারণে অনেকের মাথায় সব সময়ে ঘুরপাক খেতে থাকে এসব গেমস এর বিভিন্ন স্টেপ গুলো। পাশাপাশি এসব গেমস খেলায় পড়াশুনাসহ শারিরিক বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে এসব গেমস আসক্তি তরুণেরা। পাশাপাশি সামাজিককরণে বাধা সৃষ্টিসহ হারিয়ে ফেলছে তাদের মেধা শক্তি ও মনোবল। তাছাড়া অবিভাবকেরা যদি এসব গেমস খেলা বন্ধ করতে বললে তারা এমন প্রতিক্রিয়া দেখায় যে কিছু কিছু বাচ্চা আছে তারা ভীষণ রেগে যায়, ভীষণ চেচামেচি করে। সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে সে হয়তো গেমে মারাত্মক আসক্ত। এছাড়াও মোবাইল গেমিং এর মাধ্যমে এখন দেখা যায় জুয়ার আসর বসে। বিভিন্নস্থানে দেখা যায় কয়েক জন কিশোর ও তরূণ একসাথে বসে মোবাইলে লুডু খেলতে। তাও আবার টাকার বিনিময়ে।
খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, দিন দিন যে ভাবে উঠতি বযসী তরুণ কিশোরেরা মোবাইল ফোনের বিভিন্ন গেমসে আসক্তি হচ্ছে এটা শরিরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। একদিকে মোবাইলে লাইট স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে এক সময়ে চোখের দৃষ্টির উপর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি ব্রেনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ও সময় নষ্ট সহ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমরা এসব কিশোর ও তরুণদের মোবাইল গেমস আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিউনিটি পুলিশ পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখছি।