রবিবার ০২ এপ্রিল ২০২৩
Online Edition

কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করলেন সীমান্ত ও সুরো কৃষ্ণ

স্পোর্টস রিপোর্টার : জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের আলেক্সান্ডার স্টেডিয়ামে পর্দা উঠলো ২২তম কমনওয়েলথ গেমসের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যতম বড় চমক ছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। যিনি নিজের বক্তব্যে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। কমনওয়েলথ গেমসের ৭২টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন নিজেদের ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের এই আয়োজনে। কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে পতাকা বহন করার কথা ছিল ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর। তবে পতাকা বহনের সময় সীমান্তর সঙ্গে ছিলেন বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা। গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্টের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেফ দ্য মিশন অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। ৭২ দেশের ৫০৫৪ জনের মার্চপাস্টে বাংলাদেশের ছিল ৩০ জন ক্রীড়াবিদ। আন্তর্জাতিক গেমসে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো ক্রীড়াবিদের বাংলাদেশের পতাকা বহনের রেকর্ড সাম্প্রতিক সময়ে নেই। দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এমন ঘটনা সম্ভবত প্রথমই। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে মশাল প্রজ্বলন করেছিলেন মরহুম কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় জুম্মন লুসাই। বৃহস্পতিবার রাতে উদ্বোধন হলেও মাঠের লড়াই শুরু হয় শুক্রবার। একযোগে ১১ ডিসিপ্লিন মাঠে গড়ায় প্রথম দিনে। ১৯ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা এবার অংশ নেবেন সাতটি ডিসিপ্লিনে। দুই মাদার ডিসিপ্লিন অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার ছাড়াও ভারোত্তোলন, জিমন্যাস্টিকস, কুস্তি, বক্সিং ও টেবিল টেনিসে থাকবে বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিত্ব। এই সাত ডিসিপ্লিনের মধ্যে গতকাল চারটিতে নেমেছে বাংলাদেশ। বক্সিংয়ে মো. হোসেন আলী, সুরু কৃষ্ণ চাকমা ও সেলিম হোসেন রিংয়ে নামেন। এদের মধ্যে হোসেন আলী ৬৩.৫-৬৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে, সুরু কৃষ্ণ ৬০-৬৩ কেজিতে ও ৫৪-৫৭ সেলিম হোসেন লড়াই করেন। সুর কৃষ্ণদের সঙ্গে প্রথম দিনেই জিমন্যাস্টিকে পুরুষ দলগত ইভেন্টে রিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। যেখানে শিশির আহমেদ, আবু সাইদ রাফির সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আলী কাদের হক। দলগত ইভেন্টের পাশে আলী কাদের লড়াই করেন ফ্লোর এক্সারসাইজ ও ভল্টিং টেবিলে। এছাড়া পুরুষ টেবিল টেনিসে দলগত ইভেন্টে লড়াই করেন মোহতাসিন আহমেদ, রামহীম লিয়ন বর্ম, রিফাত মাহমুদ ও মুফরাদুল কায়ের হামজা। সাঁতারে প্রথম দিনে ৫০ মিটার ব্যাটারফ্লাইয়ে মাহমুদুন নবী নাহিদ ও ৫০ মিটার ব্রেস্টস্টোকে পুলে নামেন মরিয়ম আক্তার। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কমনওয়েলথ গেমস বাংলাদেশকে দিয়েছে অন্যরকম পরিচিতি। যদিও সেটা এসেছে শুটারদের কল্যাণে। এই আসরে এ পর্যন্ত পাওয়া আটটি পদকের সবকটিই এনে দিয়েছেন শুটাররা। ১৯৯০ অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে দুই শ্যুটার আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তল দ্বৈত ইভেন্টের ফাইনালে ফেভারিট অস্ট্রেলীয় জুটিকে হারিয়ে রীতিমতো বিখ্যাত বনে যান। কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে দেশ পায় প্রথম পদকের দেখা। তবে নিরাপত্তা ভাবনায় এবার শুটিং রাখেননি আয়োজকরা। বাংলাদেশের আরেক সম্ভাবনাময় খেলা আরচারিও জায়গা পায়নি ১৯টি খেলার তালিকায়। ব্যক্তিগত কিছু ইভেন্টে ভালো কিছুর প্রত্যাশা আছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে জিমন্যাস্ট আলী কাদের হক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুরকে নিয়ে আশা দেখছেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা। এছাড়া হাই জাম্পে মাহফুজুর রহমান ও উম্মে হাফসারাও আশা দেখাচ্ছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ