বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার: জিম্বাবুয়ের সফরে এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শুরু করবে টাইগাররা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। সিরিজের পরবর্তী দুই ম্যাচ হবে- ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট। সিরিজের সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। সবকটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। জিম্বাবুয়ে সফরে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সোহানের নেতৃত্বে তরুণ এক দল নিয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তরুণ বাংলাদেশ দল গড়েছে বিসিবি। দলে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম নেই। তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়। নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের অন্যতম সিনিয়র খোলোয়াড় সাকিব আল হাসান এই সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিযেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে হয়তো সাকিব নেতৃত্ব দিতে পারেন। জিম্বাবুয়ের মাটিতে স্বাভাবিকভাবে এই সফরে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ টপকে জিম্বাবুয়েতে সব ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ। এই প্রথম এই ফরম্যাটে দেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারথ মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিলংর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহকে ছাড়া সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ দল। ফলে চ্যালেঞ্জ থেকেই যাচ্চে টাইগারদের সামনে। ২০০৬ সালে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত ১২৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে হেরেছে টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে শেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সব ফরম্যাটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন একটি ফরম্যাট যেখানে বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলতে পারে জিম্বাবুয়ে। অপরদিকে নিজেদের পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচে জয় আছে বাংলাদেশের। তবে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা থাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ^াসী থাকবে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেললে অনুপ্রাণিত হয় তারা। বিশ^কাপ বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ বছরের আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ায় আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে। তবে ইনজুরির কারনে দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি এবং তেন্ডাই চাতারাকে পাচ্ছে না তারা। বাছাইপর্বে দলের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখেন তারা। জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক। তাই মুজারাবানি ও চাতারার অনুপস্থিতি বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির। দল হিসেবে জিম্বাবুয়ে যতটাই শক্তিশালী হোক না কেন। এই সিরিজের সব ম্যাচে জয়ের দিকেই চোখ বাংলাদেশ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে হারাতে আমাদের সেরা খেলা খেলতে হবে। এটা চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই আমরা যতটা সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। সবগুলো ম্যাচ জিতলে ভালো হবে। তাই আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে এগোবো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সিরিজের শুরুটা ভালো করা।’ বাংলাদেশ দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘অনেকে এই ফরম্যাটে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলছেন, কিন্তু আমরা কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও এই ফরম্যাটে নিজেদের প্রমাণ করতে পারিনি। এটা মূলত রিয়াদ-মুশফিকুরকে দল থেকে বাদ দেয়া বা সাকিবকে বাদ দেয়া নয়। আমি মনে করি কিছু খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখতে চাই আমরা। আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে চাই, যা কিছুটা সহজ। আমরা সেসব নতুন খেলোয়াদের সম্পর্কে ভালো কিছু ধারণা পেতে চাই। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সামর্থ্য সর্ম্পকে আমরা আগের থেকেই জানতাম।’
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, শেখ মাহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন।
জিম্বাবুয়ের ১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি দল: রেজিস চাকাভা (উইকেটকিপার), ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামস, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, লুক জঙউই, রিচার্ড এনগারাভা, ইনোসেন্ট কাইয়া, টনি মুনইয়োঙ্গা, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ভিক্টর নিয়াউচি ও টানাকা চিভাঙ্গা।