শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডীন, ইন্সটিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এর সমন্বয়ে এক জরুরি সভার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সবকিছু বিবেচনায় ১৪ জুন থেকে আগামী ৫ জুলাই, ২০২২ পর্যন্ত সকল একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকাল ৫টা এবং ছাত্রীদের বুধবার (১৫ জুন) ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চলমান সকল একাডেমিক কার্যক্রম যতারীতি অব্যাহত থাকবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা হল বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।  

এরপর যাতে ক্যাম্পাসে কেউ অস্ত্র নিয়ে বের না হয় সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নিব। এখন (বেলা দেড়টার দিকে) হলে রেড দিচ্ছে পুলিশ। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আছেন।’

এর আগে চট্টগ্রাম শহর থেকে দেরিতে বাস ছাড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার (১১ জুন) রাত থেকে রোববার (১২ জুন) বিকাল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ (শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির) এর মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও তরিৎ প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুল আবেদীন আহত হয়। এছাড়া সোমবার (১৩ জুন) সারাদিন উত্তেজনা বিরাজের পর রাতে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি আরও ভীতিকর হয়ে ওঠে। বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালেও বহিরাগতসহ একটি পক্ষের ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়ার খবর পাওয়া যায় । এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সকালে চুয়েটের সব ডিন, ইন্সটিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পরপরই সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীমের (রাউজান-রাংগুনিয়া সার্কেল) নেতৃত্বে হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগ করতে দেখা যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ