রাস্তা নয় যেন ডোবা চরম দুর্ভোগে পথচারীরা

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ডোবায় পানি জমে আছে। কিন্তু না পাকা রাস্তায় গর্ত হয়ে সেই খালে পানি জমেছে। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টির পানি নেমে যেতে না পারায় আর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদরের পাকা সড়কগুলোতে গর্ত ও খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঠে প্রায় এক হাঁটু পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘœন ঘটছে। আর বাসা বাড়িতে ঢুকছে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। দীর্ঘদিন থেকে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও এসব ভাঙা রাস্তা মেরামতের বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে সর্বসাধারণের ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের একেবারে কাছে জামতলা মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুটি স্থানে, জামতলা থেকে সাহাপাড়া পর্যন্ত ৪টি স্থানে, বাগভান্ডার রোড, মহিলা কলেজ রোড, কেন্দ্রীয় কবরস্থান রোড, ডাক বাংলো রোড ও সরকারি কলেজ রোডের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো ক্রমেই বড় হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিপাতে সেখানে প্রায় হাঁটু পানি জমে। রাস্তায় জমে থাকা পানি ভেঙেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণী-পেশার লোকজনকে কষ্টে চলাচল করতে হয়। যানবাহনের চাকার ছিটকানো পানিতে পথচারীদের পরিধেয় কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়। কখনো কখনো অটো, রিক্সা উল্টে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে ভূরুঙ্গামারী কিশলয় বিদ্যানিকেতন ও সিনিয়ার মাদরাসায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঐ মাঠে প্রায় হাঁটু পানি জমে থাকে। রাস্তায় গর্তের ছবি তোলার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী আল আমিন, হাবিবুল্লাহ ও আরিফ বলেন, বড় বড় গর্তের ছবি তুলে কি হবে? এর আগে অনেকে ছবি তুলে নিয়ে গেছে কোনো লাভ হয়নি। এরকম ভোগান্তি আমরা কয়েক বছর যাবৎ ভোগছি। সরকারি কবরস্থান পাড়ার বাসিন্দা আজিজুল, মতিয়ার ও ফেরদৌস জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না হওয়ায় ও সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি মোরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরন্নবী চৌধুরী খোকন বলেন, জলাবদ্ধতার ব্যাপারে জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে কথা হয়েছে এবং উপজেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। আমরা এব্যাপারে অতিশীঘ্রই পদক্ষেপ নিবো। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান প্রধান সড়ক মেরামতের স্টিমেট পাঠানো হয়েছে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি অনুমোদন পাবো। অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।