রবিবার ২৮ মে ২০২৩
Online Edition

হরমোনের মাত্রায় গড়বড় হলে কি বিপদ? 

হরমোন শরীরের একটি কার্যকর উপাদান। একটু এদিক-ওদিক হলেই নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়। অধিকাংশ মহিলার ভোগান্তি এই নিয়েই। হরমোনের গতিবিধি ঠিক রাখবেন কী ভাবে? সবচেয়ে ভুক্তভোগী মহিলারাই। পুরুষদের হলেও তা অনেক কম। শরীরে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ, যার একটু এদিক-ওদিক হলেই নানা রকমের অসুখ প্রকাশ পায়। ঠিক কী হয়? দরুন একটা খাবার তৈরি করবেন। উপাদান সামগ্রীর কম-বেশি হলে সেটার মান কী ভাল হবে? না। তেমনই শরীরে হরমোনের হেরফের হলেও শারীরিক সামগ্রিক কাজকর্মও বিপর্যস্ত হয়। হরমোন হল শরীরের অন্যতম কেমিক্যাল ম্যাসেনজার। যা এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডে উৎপন্ন হয়। এটি রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে শরীরের কলা ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে নির্দেশ পাঠায়। প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করতে হরমোনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বয়সজনিত কারণে হরমোনের সমস্যা অস্বাভাবিক কিছু নয় কিন্তু কম বয়সে এই ধরনের সমস্যার কারণ এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডের সমস্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইট্রোজেন ও এন্ড্রোজেন-এর মাত্রা বেড়ে সমস্যা শুরু হয়। সাধারণত মেয়েদের রিপ্রোডাকটিভ এজ গ্রুপে এই অসামঞ্জস্য দেখা যায়। হতে পারে থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা। এই হরমোনের কম বা বেশি সবেতেই অসুবিধা। প্রোল্যাক্টিন হরমোন-এর সমস্যা মহিলাদের খুবই হয়। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলেই বিপদ। শরীরে একাধিক হরমোন রয়েছে। তাদের কাজও ভিন্ন ভিন্ন। কোন ধরনের হরমোনের সমস্যা তার সঙ্গে নির্ভর করবে কী অসুখ হবে। হরমোন থেরাপি, কোনও অসুখে ওষুধ দীর্ঘসময় খেলে, ক্যানসার বা কেমোথেরাপি নিলে, শরীরে কোনও টিউমার দেখা দিলে, পিটুইটারি টিউমার, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের অভাব বা খেতে না পারলে, মানসিক চাপ, কোনও আঘাত বা ট্রমা। হরমোনাল ইমব্যালান্স হলে তার ফলে একাধিক অসুখ হতে পারে। টাইপ ১ ও ২ ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপোগনাডিজম, কাসিং সিনড্রোম বা শরীরে কর্টিজলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনের অসামঞ্জস্যে পিসিওএস, প্রিম্যাচিওর মেনোপজ, সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আাল্ট্রাসনোগ্রাফি, প্রয়োজনীয় হরমোন টেস্ট করে কোন হরমোনের সমস্যা ও কোন রোগ রয়েছে তা নির্ণয় করে সেই মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ