গরমে আরাম তরমুজে

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: শুরু হয়ে গেছে বৈশাখের দাবদাহ। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড এই গরমের মধ্যেই চলে এসেছে মুসলিম বিশ্বের সংযমের মাস রমজান। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা পোড়া না খেয়ে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন গ্রীষ্মের মৌসুমি সব ফল। আর এদের মধ্যে পুষ্টিমানের পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীর ও মনকে প্রশান্তি দিতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।
রসালো এই ফলটিতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯২%। তাই এই গরমে ও সারাদিন রোজা রাখার পর এক ফালি লাল টকটকে রসালো তরমুজ রাখতে পারেন প্রতিদিনের ইফতারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজের ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং রূপচর্চায়ও অত্যন্ত উপকারী।
চড়া দামের জন্য যারা রসালো এই ফলটি কিনবেন কি-না সেই চিন্তা করছেন তাদের জন্য তরমুজের উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো।
- তরমুজের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্ক ও শরীর ঠান্ডা রেখে এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- তরমুজে থাকা বেশ কিছু উপাদান ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি কমায়।
- ব্লাড প্রেশারন ও কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- তরমুজ পানিশূন্যতা কমায় এবং হজমে সহায়তা করে।
- তরমুজের অ্যামাইনো অ্যাসিড ব্লাড প্রেশার কমাতে দারুণ কার্যকরী।
- শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে ত্বকও ভালো রাখে।
- তরমুজে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং ভিটামিন সি ও বি সিক্স রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং চুল ও ত্বকে শক্তি সঞ্চার করতে সহায়ক।
- তরমুজের লাইকোপেন ও বিটা ক্যারোটিন ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে। এছাড়া, ভিটামিন এ ত্বকের ক্ষয় কমিয়ে ও নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।
- তরমুজের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, মিনারেল ব্যায়ামের পর পেশিতে শক্তি যোগাতে উপকারী। তাই ব্যায়ামের পর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এক ফালি তরমুজ।
- প্রতিদিন তরমুজ খাবার হিসেবে গ্রহণ করা ছাড়াও এক চামচ তরমুজের রস ও টক দই মিশিয়ে মুখ, হাত-পা, গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া ভাব তো চলে যাবেই সেইসঙ্গে শুষ্ক এবং মলিন ত্বকও উজ্জ্বলতা পাবে।