ঢাকা, রোববার 2 April 2023, ১৯ চৈত্র ১৪২৯, ১০ রমযান ১৪৪৪ হিজরী
Online Edition

চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ তুলে ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বিনোদনের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরতে চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমাজ সংস্কারে, মানুষকে শিক্ষা দেয়া, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে পারে।’

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

২৭টি বিভাগে ৩২ জন বিজয়ীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের মধ্যে সম্মানজনক এই স্বীকৃতি তুলে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র জীবনের আয়না এবং চলচ্চিত্রই পারে সমাজকে সংস্কার করতে।

তিনি বলেন, সমাজ সংস্কারে বিরাট অবদান রাখতে পারে এই চলচ্চিত্র, জীবনের দর্শন আসে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, ইতিহাসের প্রবাহ জানা যায় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে অনেক তথ্য স্থানান্তর করতে পারে চলচ্চিত্র এবং এটি ইতিহাসের বাহক। চলচ্চিত্র অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ দেয়। এতে অনেক হারিয়ে যাওয়া বিষয় সামনে আসতে পারে।

তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ থেকে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা প্রকাশ করা যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করতে চান। এর জন্য উপজেলা পর্যায়ের সিনেমা হলগুলোকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে।

তিনি নতুন সময় এবং নতুন প্রজন্মের জন্য পুরানো সিনেমাকে ডিজিটালে রূপান্তরের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।

সূত্র : ইউএনবি

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ